তদোগেন গিরতে পেশায় শিক্ষক। মঙ্গোলিয়ার ওন্দোরহান বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পারেটিভ লিটারেচার পড়ান। কবিখ্যাতি সেভাবে নেই। কোনও প্রকাশিত বই নেই। সময় কাটানোর জন্যই লেখালিখি করেন। তাঁর নিজের কথায় — “কবিতা নিয়ে সেরকম কোনও অ্যাম্বিশন নেই। তাছাড়া আমার লেখাগুলি যে আদৌ কবিতা, মঙ্গোলিয়ার কোনও দৈনিক বা পত্রিকা সে কথা স্বীকার করে না।”
তা এহেন তদোগেন গিরতের কবিতা নিয়ে সৃষ্টিসুখ প্রকাশন থেকে কলকাতা বইমেলা ২০১৮-য় প্রকাশিত হতে চলেছে কবিতা সংকলন — ‘তদোগেন গিরতের কবিতা’। অনুবাদ করেছেন সব্যসাচী সান্যাল। অনুবাদে কবির এমন অনায়াস চলাচল যে নিচে একটা কবিতা না দিয়ে পারা গেল না।
আমি পাল্লা বেড়ালের ধুমসো লোম
থেকে শব্দ বাছি
আমি আর্গালি ভেড়ার পেট কাটতে কাটতে
শব্দ তুলে আনি
আমি তথাগতর সামনে ধুপকাঠি জ্বালি
আর প্রার্থনা করি — দেবতা আমার একটা গান হোক
পপলার বনে পাতা নড়ে
গাঁয়ের বাইরের টিলায় লাল রং ধরে
আমি তুষার চিতার পায়ের ছাপ থেকে কান্না ছেনে তুলি
আর আমি শব্দ খুঁজতে উলান বাটোরে
মায়া খুঁজতে জুয়ার টেবিলে
আমার ভেড়ার চামড়ার ডিল শব্দে ভরে ওঠে
আমি তদোগেন গিরতে শব্দর পাশে শব্দ সাজাই
আর তাকে কম্বলের তলায় নিয়ে শুই
তার দু’পায়ের ফাঁকে উংলি করি
আর সে গানে সুর বসে
সেই গান সারাজ্যোৎস্না বরফের ওপর হেঁটে বেড়ায়
খুব ভোরে উলান বাটোরের রাস্তায় তার পায়ের ছাপ দেখা যায়
—
অনুবাদকের নোটঃ (ডিল=মঙ্গোল ট্রাডিশনাল পোষাক)
বইটির প্রচ্ছদ এঁকেছেন সুমিত রায়। বলাই বাহুল্য মঙ্গোলিয়ান এই খঞ্জর প্রেম, যুদ্ধ ও কবিতার জন্যে যথাযথ।
তদোগেন গিরতের কবিতা
অনুবাদ – সব্যসাচী সান্যাল
প্রচ্ছদ – সুমিত রায়
সৃষ্টিসুখ প্রকাশন
মূল্য – ৯৯ টাকা