জিপার টানা থাকবে

80.00

About The Author

সৌমনা দাশগুপ্ত

জিরে ও আদা বাটার পর

গতজন্মের সব হাসি বিক্রি করে দেওয়ার পর তোমার আর কিছুই করার থাকবে না। নতুন আলুর খেতে মৌমাছি উড়ছে আর এদিকে তুমি অর্ধেক মুখোশ পরেই আসর মাতিয়ে দিচ্ছ। একলা মোমবাতির নিভে যাওয়ার মতো ধীরে সূর্য মুছে দিতে দিতে তুমি যে তরল অন্ধকারের ভেতর ঢুকে বসে পড়েছ, সেখানে রং বিষয়ে কিন্তু সংশয় থেকেই যাচ্ছে। আর এই যে এত হাসি ঢুকে গেল ঘরে, দেখ আয়নাও ভিজে যাচ্ছে। তুমি এবার এই চামড়ার পোশাক খুলে রাখতে পার। তোমার জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে এই খনিজ রংগুলি। এরপর থেকে কোনও মুখোশকেই তোমার খুব জরুরি বলে মনে হবে না। আর এটাও ঠিক যে এতগুলি বন্ধ দরজার মধ্যে তুমি আর নিজেরটিকে খুঁজে নিতে পারছ না। বৃষ্টি এবং শীত, শীত এবং বৃষ্টির ভেতর তোমার সেই তীব্র কাশি আবার ফিরে আসবে। ভেজা কাপড়েরা আর শুকিয়ে ওঠার কোনও সুযোগই পাবে না। বারবার ঠাঁইনাড়া হওয়ার এই চাপা উত্তেজনার ভেতর, হাওয়া-মোরগকে লক্ষ্য করে যাওয়া ছাড়া তোমার আর কোনও কাজ থাকছে না। তোমার রেটিনায় এখন থেকে অন্য কারও চোখের ছায়া প্রতিফলিত হতে শুরু করেছে। তোমার নষ্ট হয়ে যাওয়া বাঁ চোখ সেরে উঠছে দেখ। এবার নিশ্চিন্তে ব্রাশ হাতে নিতে পারো

ভেলোসিটি একই থাকবে

শীতকাল রেওয়াজ করতে করতে ঘেমে যাচ্ছ। ওদিকে ঠান্ডা কড়কড়ে হয়ে উঠল জুঁইফুল। বাগান লিখতে বসে বারবার এই দ্বিধা তোমাকে আর স্থির থাকতে দিচ্ছে না। শুধু পিয়ানোর ডাকের ভেতর বরফ ঢুকে যাচ্ছে। তুমি কোকিল অথবা পিয়ানো কাউকেই আর পোষ মানাতে পারছ না। কে বাজায়, কাকে বাজায়? শুধু কিছু তারা নাতিউজ্জ্বল হয়ে উঠল। জলপতনের শব্দে জোনাকিও ভিজে গেল। আকাশ মুছে ফেলার পর দিকচক্রবাল বলে আর কিছুই থাকছে না। এই সমুদ্র ক্রমেই দীর্ঘ হয়ে উঠছে। কালো এবং স্থির এই ওপেক রং তুমি আর ঘষে তুলতে পারছ না। শুধু দৃশ্যের ফসিলে ভরে উঠছে তোমার বই। সেই ভোররাত থেকে মরুভূমির ভেতর জারুল ভরে দিতে দিতে তোমার আঙুল ঘন বেগুনি হয়ে গেল। আর কোনও একটা সূর্যাস্তের পাশে গলে যাওয়া পিলসুজের ইতিহাস লিখতে লিখতে তোমার কলম আরও স্ফীত এবং ভরাট হয়ে উঠছে। এই রং নিয়ে আর কতদূর যেতে পারো! বড়জোর মধ্যসপ্তকে জোড়ঝালা বাজিয়ে ফেলতে পারবে। কড়ি মধ্যম আর লাগবেই না। বিলম্বিত একতালে খেলতে খেলতে তোমার ক্রসস্টিচের ফোঁড়ই শুধু নিপুণ হয়ে উঠবে। এই কাটাকুটি খেলা শেষ অব্দি কোনও শূন্য দিয়েই মিলিয়ে দিতে পারছ না

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “জিপার টানা থাকবে”

Your email address will not be published. Required fields are marked *