কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্য যে নতুন করে আর কোনও গান গাইবেন না, বাঙালি অন্তত এখনও তা বিশ্বাস করে না। না করারই কথা। কারণ তিনি নিজেকে ছড়িয়ে দিয়েছেন তাঁরই সহনাগরিকের অনুভবে, মননে, নতুন করে কিছু ভাবা ও গড়ে তোলার সম্ভাবনায়। সঙ্গীতশিল্পী কালিকাপ্রসাদের ব্যাপ্ত কর্মকাণ্ড নিশ্চিতই ভবিষ্যতে গবেষণার বিষয় হয়ে উঠবে। সে কালিকাপ্রসাদ সকলেরই। কিন্তু কয়েকজনের কাছে রয়ে আছেন আর একজন ব্যক্তিগত কালিকাপ্রসাদ। যিনি কারও বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু, স্বামী, সহকর্মী কিংবা প্রিয় দাদা। চাকরিসূত্রে যিনি হয়তো কারও ‘বস’। আবার মিউজিক ম্যানেজারের ভূমিকা নিয়ে যিনি গড়ে দিচ্ছেন এফ এম-এর গান-কথা সংস্কৃতির স্বতন্ত্র ঘরানা। কোথাও আড্ডা জমেছে চায়ের দোকানে। কোথাও আবার অফিসেরই কাজের ফাঁকে। ক্লাসরুম থেকে মিউজিক রুম পর্যন্ত ছড়িয়ে থাকা সেই যে অন্য কালিকাপ্রসাদ, তিনি থেকে গিয়েছেন জনা কয়েকের স্মৃতিতেই। সেই স্মৃতিরই কোলাজ ‘সঙ্গে কালিকা’। বন্ধু হয়ে যিনি নিরুচ্চারে তাঁর দর্শনে অনুপ্রাণিত করেছেন কয়েকজনকে, পরিবারের বাইরেও তৈরি করে নিয়েছেন তাঁর ‘এক্সটেন্ডেড ফ্যামিলি’, তাঁরা বিশ্বাস করেন ৭ মার্চ সত্যি নয়। কালিকাপ্রসাদ আছেন সঙ্গে। প্রসাদ কিংবা কালিকা বা প্রসাদদা হয়ে। কালিকাপ্রসাদেরও সঙ্গে আছেন তাঁরা। নানা অনুষঙ্গে কালিকাপ্রসাদের সঙ্গে সে আড্ডা চলছে নিরন্তর। স্মৃতির সঙ্গে সে আড্ডারই সংকলন ‘সঙ্গে কালিকা’।
কলম ধরেছেন, ঋতচেতা গোস্বামী, লোপামুদ্রা মিত্র, রাজীব দাস, গৌতম ঘোষাল, সুদীপ্ত চক্রবর্তী, রাজা দাস, রায়ান মজুমদার, শোভন তরফদার, শুভজিৎ রায়, পূর্বাশা বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত চট্টোপাধ্যায়, কীর্তিশ তালুকদার, সঞ্জয় সেন, সুগত দাশ এবং সুতীর্থ দাশ।
প্রচ্ছদঃ রোহণ কুদ্দুস
নামাঙ্কণঃ উর্বা চৌধুরী
Reviews
There are no reviews yet.