বইয়ের নাম ‘লেটারবক্স’। ভূমিকায় লেখক জানিয়েছেন–
বয়স বাড়লে যখন চিঠি লেখার অনুমতি মিলল আর জন্ম নিল উত্তরের অপেক্ষা, স্কুলছুটির দুপুরগুলোতে উঁকি দিতাম সদর দরজার লেটারবক্সে। রঘুবীরকাকা নিঃশব্দে ফেলে দিয়ে যেত চিঠি। কেবল উলটোদিকে সুষমাদের বাড়িতে লেটার বক্স ছিল না বলেই হয়তো, একবার হাঁক দিত— চিঠি আছে! লোকটা যন্ত্রের মত বিলি করে যেত। কাঁধের ঝোলায় বয়ে নিয়ে বেড়াত হাজারো মানুষের সুখদুঃখ, হাসিকান্নার দাস্তান।
তখন থেকেই আমার কাছে চিঠি মানে গল্প। জীবনের গল্প। আর লেটারবক্স মানে ছিল গল্পের ভাণ্ডার। ঠিক যেমন গল্পরাও বয়ে চলে অসংখ্য জীবনের বার্তা, কান্নাহাসি, ভালোবাসা আর দীর্ঘশ্বাসের খবর। সেই অর্থে আমার এই তৃতীয় গল্পসঙ্কলন তো আক্ষরিক অর্থেই লেটারবক্স! বত্রিশটা অণুগল্প আর ছয়খান ছোটগল্পে ঠাসা এই ‘লেটারবক্স’ রইল পাঠকদের জন্য।
Be the first to review “লেটারবক্স”