October 2017

বাংলা বইয়ের দাম কেন এত বেশি?

বাংলা বইয়ের দাম কেন এত বেশি সেই নিয়ে প্রায়ই কথা শুনতে হয় নানা জায়গায়। সত্যি বলতে কী, সৃষ্টিসুখ থেকে যে বইগুলো আমরা করি, চেষ্টা করি যতটা সম্ভব সেগুলোর দাম কম রাখা যায়। কিন্তু সেটাও একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দস্তুর এটাই যে, বইয়ের মুদ্রিত মূল্যের ওপর ২০%-২৫% ছাড় দিতে হবে। কিছুদিন আগেই এক সিনিয়র প্রকাশকের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। একটা বইয়ের দাম আমরা রাখছি ১২৫, ১০% ছাড়ে সেটা বিকোচ্ছে ১১২ টাকায়। ওই একই আকারের (মানে একই পৃষ্ঠাসংখ্যা, গড়নের) বইয়ের দাম তাঁরা রাখছেন ১৫০ টাকা। সেটা ২৫% ছাড়ে বিক্রি করছেন। হরেদরে পাঠক সেটা পাচ্ছেন ১১২ টাকায়। তিনি সুজন হিসাবেই পরামর্শ দিলেন -- যে...

Continue Reading →

আজে গল্প বাজে গল্প-তাপস মৌলিক(টগবগ উৎসব সংখ্যা ১৪২৪)

১ এই লাইনটা এই গল্পের প্রথম লাইন। প্রথম লাইনে গল্পটা শুরু হল। দ্বিতীয় লাইনে চলতে শুরু করল। এই চতুর্থ লাইন যখন এল, তখন গল্পটা চলছে। চলতে চলতে চলতে চলতে চলতে — পঞ্চম লাইনের পর গল্পটা দেখল যে প্রথম অনুচ্ছেদ প্রায় শেষ। সামনে দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ। ২ শীতের সকালে দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ কম্বল মুড়ি দিয়ে ঘুমোচ্ছিল। গল্পটা এসে তাকে ধাক্কাধাক্কি করে তুলে বলল, “আরে ওঠো ওঠো। এত ঘুমোলে চলবে?” দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ আড়মোড়া ভাঙতে ভাঙতে বলল, “ওঃ, এই সাতসকালে কেন জ্বালাতন করছ? কী চাই তোমার?” গল্পটা বলল, “দু-একটা চরিত্র-টরিত্র দাও, নইলে চলি কী করে?” “কীরকম চরিত্র দরকার? বাজেট কত?” “মানে?” “আরে চরিত্র তো তেত্রিশ...

Continue Reading →

নিষিদ্ধ ফল-দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য

দশটি বসন্তকাল। কত দীর্ঘ সময়! তাদের যৌথ গুহাটির সামনে সে পা দুটি ভাঁজ করে বসেছিল। জায়গাটি নীরব। প্রথম বসন্তের বাতাসে শীতের মৃদু কামড়। সময় তার ওপরে বিশেষ ছায়া ফেলতে পারেনি। সেই আগেরই মতো সতেজ, সুন্দর রয়ে গেছে ইবা। অথচ তালাই তো আর সুন্দর নেই। তাকে দেখলে বৃদ্ধা মনে হয়। তার চামড়ায় বয়সের কুঞ্চন। তার পেটটি সর্বদাই উঁচু হয়ে থাকে কোনও এক অজ্ঞাত রোগের প্রকোপে। দশ বছরে আটটি সন্তান হলে এইরকমই হয়। মনে মনে নিজের সঙ্গে তালাইয়ের শরীরের তুলনা করে একটা বিকৃত আনন্দ হচ্ছিল ইবার। অথচ, হৃদয়ের গভীরে সে তালাইকে হিংসা করে। তীব্র, বিষময় ঈর্ষা! তালাইয়ের দু’দুটি ছেলের পিতা তার ঈশির।...

Continue Reading →

পাখিদের সমস্ত সাজ-তাপস কুমার লায়েক

মাঝে মাঝে কেউ কেউ প্রশ্ন করেন না, কোনও নির্জন দ্বীপে নির্বাসনে গেলে কোন বইগুলো নিয়ে যাবে সঙ্গে?  ২-৩টে কবিতার বই নিয়ে অবশ্যই যাওয়া উচিত। তালিকায় যে বইটা যে কোনওদিন থাকবে, সেটা হল তাপস কুমার লায়েকের 'পাখিদের সমস্ত সাজ'। তাপসদার (কবির সঙ্গে পরিচয়ের মওকা পাইনি এই বইয়ের কবিতাগুলোর বাইরে, তবুও 'তাপসদা'... বড় আপনজন সে) কবিতা পড়তে পড়তে মাঝে মাঝেই ভাবি, অগ্রন্থিত কত কবিতা বাইরে রয়ে গেল। পড়ার সুযোগ হল না। অকালপ্রয়াত এই কবিকে পাঠক মনে রাখলেন না দেখে আক্ষেপও হয়। যাই হোক, 'পাখিদের সমস্ত সাজ' বইটিতে আছে সারেঙ ও ব্যালেরিনা জল, তুমি এই মহাদেশ, বৃষ্টি ও তামাকের ঘর, নাও, L14B কবিতা...

Continue Reading →