মৃগাঙ্ক মজুমদারের লেখার প্রধান গুণ সরলতা ও সরসতা। বিষয়, গুরুত্বে ও বৈচিত্র্যে যেমনই হোক না কেন, মৃগাঙ্ক তা সহজ করেই উপস্থাপন করতে পারেন। সহজিয়া সে ভঙ্গি প্রথমেই মন কেড়ে নেয়। কিন্তু তারপর রম্যতার আড়াল সরালে দেখি, লেখক আসলে আমাদের ধরিয়ে দিতে চাইছেন অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা। মুখোমুখি করাতে চাইছেন আমাদেরই জীবনের নানা প্রীতিকর কিংবা অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সঙ্গে। হ্যাঁ, সেইসব মুহূর্তদের আমরাই তৈরি করি। আমরাই সে ফাঁদ রচনা করে, তার মধ্যে ডুবে ছটফট করি। মৃগাঙ্ক এই সবটা দেখেন খানিকটা দূরত্ব থেকে। ফলে তিনি যা বলেন বা বলতে চান, তা আসলে তিনি বলেন না, বলেন তাঁর সৃষ্ট চরিত্র নকুড়। আর আমরা দেখি একে একে উঠে আসে আমাদের অফিস কালচার। কাজের সংস্কৃতি তো আছেই, কত রকমের যে ‘বস’ হয়, তার ইয়ত্তা নেই। তার উপর আছে কূটকচালি। আর সবার উপরে আছে প্রেম। অফিস যেন আস্ত একটা দুনিয়া। কত ঘটনা ঘটিতে থাকে। নকুড় দেখে আর বলে। আমরা শুনি আর বুঝি। আসলে সব বুঝি কি? সেখানেই লেখকের আগমন। রম্যের পর্দাখানা তিনি এই বোঝা আর না-বোঝার মধ্যে ঝুলিয়ে রেখেছেন। বাকি দায়িত্ব তো অবশ্যই পাঠকের।
Reviews
There are no reviews yet.