পাঁচালি বলতেই মনে পড়ে বৃহস্পতিবার। ঠাকুরঘরে মা দুলে দুলে একটা বই পড়ছে। একটা কেমন জানি ঘুমপাড়ানি সুর। পাতা ওলটাবার শব্দ, আবার দুলুনি, আবার সেই সুর… বেশ কিছু পাতা। শেষে বইটা মাথায় ঠেকিয়ে পুজোর ইতি। হাতে নকুলদানা প্রসাদ। সত্যি বলতে কী, কোনোদিন ঠিক মন দিয়ে শুনিনি নিজে। তবে মা মাঝে মাঝে কয়েকটা গল্প বলত ওই বইটা থেকে। ভক্তের দুঃখে দেবী কেমন দেখা দিয়েছিলেন ইত্যাদি ইত্যাদি। ভালো লাগত শুনতে।
“মধুর বচনে দেবী জিজ্ঞাসে বৃদ্ধারে,
কীজন্য এসেছ তুমি গহন কান্তারে,
কাঁদিতে কাঁদিতে বৃদ্ধা অতি দুঃখভরে
তাহার ভাগ্যের কথা বলিল লক্ষ্মীরে।”
দয়িতা রায় তাঁর ‘হিজিবিজি পাঁচালি’র ভূমিকায় এমনটাই লিখেছেন। দৈনন্দিন নানা ঘটনাকে ব্যঙ্গ, কৌতুক আর অন্ত্যমিলে সাজিয়েছেন তিনি এই বইতে।
Reviews
There are no reviews yet.