পাণ্ডুলিপি পাঠিয়ে লেখক বলেছিলেন, “তোমাদের অনেক নাম শুনে ভরসা করে এই পাণ্ডুলিপিটা পাঠাচ্ছি।” কতটা ভরসা করেছিলেন লেখক? পাণ্ডুলিপির মূল কপি (যেটা তিনি কাগজে কলমে লিখেছেন নিজে হাতে, সেই কপি) ডাকযোগে পাঠিয়েছিলেন। আমরা আশ্বাস দিয়েছিলাম, যথাযথ যত্নে কাজ হবে।
এই উপন্যাস প্রকাশ পাওয়ার কথা ছিল আগের বছর বইমেলায়। কিন্তু কম্পোজ হয়ে প্রথম প্রুফ দেখা হয়ে আসার পরে লেখককে ফোন করে আমাদের অপারগতার কথা জানাই। যে পরিমাণ মনোযোগ এই বই দাবি করে, সেটা সেই মুহূর্তে আমার ভাঁড়ারে ছিল না। সাধারণ বাংলা গদ্যভাষা তো সেটা নয়। বাংলার সঙ্গে হিন্দি, উর্দু, হরিয়ানভি, পাঞ্জাবি মিলেমিশে সে এক বিচিত্র আস্বাদ। রেড ওয়াইনের মতো তারিয়ে তারিয়ে গ্রহণ করতে হয়। গত আট মাস আমরা সেই কাজটাই করেছি। তিনবার পুরো কম্পোজড ম্যাটার লেখকের পাঠানো পাণ্ডুলিপির সঙ্গে অক্ষরে অক্ষরে মিলিয়ে দেখেছি। শেষবার পেজ সেটআপের সময় বিষণ্ণ হয়ে উঠছিল মন। এরপর এ গদ্য আর আমার একার থাকবে না। যে বই এত পরিশ্রমে এত যত্নে একান্ত নিভৃতে গড়ে উঠল, তা এবার বহু মানুষের হাতে হাতে ছড়িয়ে পড়বে। কিন্তু কাল রাতে শেষ শব্দটা পাতায় রাখার পর একই সঙ্গে চরম তৃপ্তি এবং আনন্দ ছড়িয়ে পড়ল সারা শরীরে। এরপরও টাইপো থাকবে, বানান ভুল থাকবে। কিন্তু যে প্রতিশ্রুতি লেখককে দিয়েছিলাম, তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হয়েছে। প্রতিটা শব্দ জেনেবুঝে সাজিয়ে দিয়েছি বইয়ের পাতায়।
পাঠক, এ বই না পড়লে আপনার দারুণ কিছু ক্ষতিবৃদ্ধি হবে না। সে তো আমরা অনেকেই মেরুজ্যোতি চাক্ষুষ করিনি, নিজের কানে শুনিনি রবিশংকরের সেতার, স্বাদ নিইনি কাপে লুয়াকের; তারপরও তো জীবন দিব্যি চলছে আহার-নিদ্রা-মৈথুন সহযোগে। কিন্তু তবু একবার যদি, আহ, একবার এইসব অনাস্বাদিত অধরা রোমাঞ্চের সুযোগ আমাদের ছাপোষা জীবনে আসে, তাকে কি দূরে সরিয়ে রাখব? আসুন, আপনাকে রবীন্দ্র গুহর ‘ইহদিল্লি শহরনামা’র প্রথম দশটি অধ্যায় পড়তে দিই সৃষ্টিসুখ-এর ই-বুক পড়ার অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ Sristisukh E-Book থেকে। এ উপন্যাস কী নিয়ে, কেন, কেমন তার কিছুটা আন্দাজ সেখানেই পাবেন। বাকিটা জানতে হলে পুরো বইটিই ভরসা।
এই ফ্রি প্রিভিউ পড়তে অ্যাপ ডাউনলোড করার লিংক এখানে
সঙ্গে রইল পার্থপ্রতিম দাসের করা প্রচ্ছদ।
Ai writer er somondhe ektu bolben pls boi te to kichu deoa nai.