হুমায়ূন আকাশের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন – “সুশান্তর বাড়িতে অমন করে হানা না দিলেই পারতে তোমরা।” অভীক বেঞ্চের অপর প্রান্তে বসে পায়রাদের বাদাম খাওয়াচ্ছিল। সে অপ্রস্তুত হেসে বলল – “আসলে তখন জেদের বশে… বাজি ধরে…” হুমায়ূন হতাশ স্বরে মাথা নাড়লেন – “না হে। মানুষের অন্ধকার নিয়ে নাড়াচাড়া না করাই ভালো। মিসিরকেও সেদিন বোঝাচ্ছিলাম…” অভীক বাদামের খোসাগুলো ঠোঙার মধ্যে সাবধানে জমিয়ে রাখছিল। তার থেকে আঙুলে একটা পাতলা বাদামি পরত তুলে নিয়ে অন্যমনস্ক গলায় জিজ্ঞাসা করল – “মিসির স্যরের ব্যাপারটা আলাদা। কিন্তু হিমু ভাইজানকে কী করে বোঝাবেন?” হুমায়ূন রহস্যময় হেসে মাথা নাড়তে নাড়তে বললেন – “এই বইমেলায় দেখা হলে তাকে তোমার এই বই এক কপি দিও।”
এক ঠোঙা বাদামি খোসার মধ্যে বিকেলের শেষ আলোয় এক ঝাঁক পায়রা কমলালেবুর সুঘ্রাণ হয়ে উঠছে তখন।
===========================================
সৃষ্টিসুখ থেকে প্রকাশিত হচ্ছে অভীক দত্তের গল্প সংকলন ‘কেউ কোথাও যাবে না’। কলকাতা বইমেলা ২০১৫-তে পাওয়া যাবে সৃষ্টিসুখ থেকে।