ফেলুদা এবং ব্যোমকেশকে নিয়ে লেখা দু-দুটি ফ্যান ফিকশন একত্রে প্রকাশিত হচ্ছে কলকাতা বইমেলায়, সৃষ্টিসুখ প্রকাশন থেকে। উপন্যাস দুটি লিখেছেন প্রবীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, প্রচ্ছদ এবং অলঙ্করণের দায়িত্বে শিল্পী অভীক কুমার মৈত্র। ফেলুদার প্রথম গল্পের পঞ্চাশ বছর এবং ব্যোমকেশের প্রথম চলচ্চিত্রের পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে লেখা হয়েছে এই pastiche দুটি।
বইটি প্রি-অর্ডার করতে পারেন সৃষ্টিসুখের নিজস্ব ওয়েবসাইটে – http://sristisukh.com/pre-order/index.php?id=6
এবার উপন্যাস দুটি নিয়ে কিছু কথা।
জয়পুরের মহারাজার জন্য ফরাসী এক মণিকার বানিয়েছিলেন ‘রুবি আইড প্যারট’, এক অমূল্য শিল্পকর্ম। দিল্লির এক শিল্প সংগ্রাহক হঠাৎই খুঁজে পান আরেকটি রুবি আইড প্যারট, যার অস্তিত্ব সম্পর্কে এর আগে কোনও ধারণাই ছিল না। সোনার তৈরি এই দ্বিতীয় টিয়াপাখিটি, যার চোখে আবার বসানো রয়েছে দুর্মূল্য রুবি পাথর, জাল কিনা সেটি যাচাই করার জন্য নিয়ে আসা হয় কলকাতার সিদ্ধেশ্বর বোস অর্থাৎ আমাদের সিধুজ্যাঠার কাছে। শিল্পকর্মটির অথেনটিসিটি প্রমাণিত হলেও রহস্যজনকভাবে সে টিয়া চুরি হয়ে যায়, তার পর পরেই খুন হন গুজরাটের সেই আর্ট কালেকটরও। সিধু জ্যাঠার অনুরোধেই এ রহস্যের সমাধানে ফেলুদা এবার সদলবলে দিল্লিতে। রাজধানীতে এবার সত্যিই তুলকালাম, অপরাধী যে কে তা বুঝতে ফেলুদারও ঘাম ছুটে গেছে। দিল্লিতে ফেলুদার এই প্রথম অ্যাডভেঞ্চার, সে অ্যাডভেঞ্চারে সামিল হওয়ার জন্য পড়তেই হবে ‘রাজধানীতে তুলকালাম’।
অপরাধীকে চিনতে না পারলে সমস্যা প্রবল, কিন্তু অপরাধ চিনতে না পারলে সে সমস্যা প্রবলতর। উনিশ শ বিয়াল্লিশের ডিসেম্বর মাস, কলকাতার রাস্তায় কান পাতলে শুধু একটা গুজবই শোনা যাচ্ছে — জাপানিরা যে কোনওদিন বোমা ফেলতে পারে। এরকমই এক আবহে, ব্ল্যাক-আউটের অন্ধকারের সুযোগ নিতে নেমে পড়েছে কোনও এক সিরিয়ল কিলার। একের পর এক নৃশংস খুনের কিনারা করতে খোদ কমিশনার সাহেব ডেকে পাঠিয়েছেন ব্যোমকেশকে। এরকম অপরাধ কলকাতার মানুষ সত্যিই আগে দেখেননি। কিন্তু এ অপরাধ গোড়ার কথা নয়, উপসংহার মাত্র। সব অপরাধ যে রাতের অন্ধকারেই ঘটে, তা তো নয়। ‘গরল তমসা’ কিন্তু কোনও জ্যাক দ্য রিপারের গল্প নয়, তার থেকেও ভয়াবহ এক চরিত্রচিত্রণ। ব্যোমকেশ ছাড়া কে-ই বা পারত এ অপরাধের সুরাহা ঘটাতে?