Blog

সৌজন্যে সৃষ্টিসুখ – রোহন কুদ্দুস

সৃষ্টিসুখ-এর সৌজন্যে নানা রকম মজার অভিজ্ঞতা রোজ হয়। ছোট বড়। যেমন, আগের বইমেলায় একদিন স্টল গোছানোর আগে বিশ্বজিৎকে অমিতাভদা বলছে পরের দিন কোন কোন বই আউটলেট থেকে স্টলে আনতে হবে। বেশ কয়েকটার পর আমি বললাম, “নোট করে নাও, নাহলে ভুলে যাবে।” বিশ্বজিতের চকিতে উত্তর — “মাথায় কম্পিউটার বসানো আছে।” আমার যুগপৎ বিরক্তি আর অবিশ্বাস দেখে পাশ থেকে বাপির (নাকি অমিতাভদার?) মন্তব্য — “সেই জন্যেই মাথাটা অত বড়।”
এসব ঘটনা পরে কাউকে শোনালে বলেন, “একটা বই লিখে ফ্যালো।” বই তো লিখবই পরে। আর সেই বইয়ে একটা চ্যাপ্টার নিশ্চিত থাকবে সুমিতদাকে নিয়ে। প্রচ্ছদ আর ইলাস্ট্রেশানের মেল চালাচালিও যে মজার হতে পারে… সাধারণত কোনও প্রচ্ছদ বা ছবি সম্পর্কে আমার মাথায় একটা আইডিয়া আসে। সেটা সুমিতদাকে মেল করি। উনি খসড়া যা পাঠান, সেটা ৯৯% ক্ষেত্রে আমি যা ভেবেছিলাম তার ৯০% হয়ে ওঠে। বাকিটা শিল্পীর নিজস্ব ব্যাপার। ফ্রিকোয়েন্সি ম্যাচিং-এর চূড়ান্ত উদাহরণ আর কী। এ ব্যাপারে আমরা জয়-বীরু। আমি চুনি আর সুমিতদা তাতে হিরে-পান্না-মোতি যোগ করেন। ফলাফল কী হয় যারা জানেন, তাঁরা জানেন

যাক গে, আজ দেবাশিসদার (সেনগুপ্ত) ‘স্বপ্নের ভিতর’http://sristisukh.com/ss_wp/faq/ বইটার কভারের ব্রিফ পাঠিয়েছি। সুমিতদা খসড়ার সঙ্গে যথারীতি কিছু মাশাল্লাহ টাইপ ইম্প্রোভাইজেশান যোগ করেছেন। আমি উত্তর করলাম — “You are an angel Sir 🙂“, ওদিক থেকে ঝটিতি জবাব — “banan vul nei to?” অ্যাটাচমেন্টে অ্যাকিউট অ্যাঙ্গেলের একটা সুমিত সংস্করণ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may use these HTML tags and attributes:

<a href="" title=""> <abbr title=""> <acronym title=""> <b> <blockquote cite=""> <cite> <code> <del datetime=""> <em> <i> <q cite=""> <s> <strike> <strong>