ছেলেটা গল্প শুরু করল। ছেলেটা এত গল্প কোথায় যে পায় কে জানে। হয়তো কোথাও পড়েছে, হয়তো কখনও ভেবেছে। কিন্তু ওর কেবলই মনে হয়, ও যেন এই গপ্পোগুলোতে ছিল… ও যেন এগুলো দেখেছে চোখের সামনে…
ছেলেটা বলে যায়। চাঁদের আলো অশ্বত্থের পাতার মাঝ দিয়ে ছাদে ইকিরমিকির কাটছে। প্যাঁচা ডাকছে চ্যাঁ চ্যাঁ। গল্প এগোয়। বৃত্তটা ক্রমশ ছোট হতে থাকে। চোখ জুলজুল। আর ছেলেটার চোখ দিয়ে ঝরঝর করে জল পড়ছে গল্প বলতে বলতে। ওর এরকম হয়। ভয়, খুশি, আনন্দ, দুঃখ — সবেতেই চোখ দিয়ে জল পড়ে। ভাগ্যিস অন্ধকারে কেউ খেয়াল করছে না।
পুরুলিয়াতে ছেলেটার যে প্রিয়বন্ধু, চশমাচোখ, দুই বিনুনি, সে বলে, “নাটক!”
তা হবেও বা নাটক। সে নাটকের জল ছেলেটার আজও তো শুকোল না।
==========
ছেলেটির গল্প বলা থামেনি। সেই গল্পগুলো দু-মলাটে সৃষ্টিসুখ প্রকাশন থেকে আসছে কলকাতা বইমেলা ২০১৮-য়। পার্থপ্রতিম দাসের করা প্রচ্ছদে সব্যসাচী সেনগুপ্ত-র ‘স্বপ্নবেলায়’।