অলোকপর্ণার লেখা উচ্চকিত নয়, সেখানে কোনও স্লোগান নেই, কোনও চমক দেওয়ার চেষ্টা নেই। কিন্তু যে লেখক নিবিষ্ট অনুশীলনে সাহিত্যচর্চা করে থাকেন, তাঁর লেখা পড়ে মুগ্ধ হতেই হয়। অলোকপর্ণা একটা নিজস্ব স্টাইল আয়ত্ত করেছেন, তাতে মায়াবী শব্দচয়ন, প্রশংসনীয় বিষয় নির্বাচন থেকে শুরু করে চরিত্রগুলোর নিশ্চিত চিত্রণ -- সবই নিখুঁত। এ পর্যন্ত অলোকপর্ণার লেখা থেকে ২৫টি গল্প বেছে নিয়েছেন Ramit Dey আর সাঁঝবাতি, সংকলনের নাম 'ঝিঁঝিরা'। কলকাতা বইমেলা ২০১৫-য় সৃষ্টিসুখ থেকে বইটি পাওয়া যাবে। প্রচ্ছদ করেছেন বন্ধু শিল্পী তৌসিফ হক।
কেউ কোথাও যাবে না-অভীক দত্ত
হুমায়ূন আকাশের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন – “সুশান্তর বাড়িতে অমন করে হানা না দিলেই পারতে তোমরা।” অভীক বেঞ্চের অপর প্রান্তে বসে পায়রাদের বাদাম খাওয়াচ্ছিল। সে অপ্রস্তুত হেসে বলল – “আসলে তখন জেদের বশে... বাজি ধরে...” হুমায়ূন হতাশ স্বরে মাথা নাড়লেন – “না হে। মানুষের অন্ধকার নিয়ে নাড়াচাড়া না করাই ভালো। মিসিরকেও সেদিন বোঝাচ্ছিলাম...” অভীক বাদামের খোসাগুলো ঠোঙার মধ্যে সাবধানে জমিয়ে রাখছিল। তার থেকে আঙুলে একটা পাতলা বাদামি পরত তুলে নিয়ে অন্যমনস্ক গলায় জিজ্ঞাসা করল – “মিসির স্যরের ব্যাপারটা আলাদা। কিন্তু হিমু ভাইজানকে কী করে বোঝাবেন?” হুমায়ূন রহস্যময় হেসে মাথা নাড়তে নাড়তে বললেন – “এই বইমেলায় দেখা হলে তাকে তোমার এই...