এক মুখহীন অবয়বমাত্র জনতাপিণ্ডের সঙ্গে পথ হাঁটছে এই সংকলনের গল্পগুলি। তাদের সাথে বটতলার সালিশী সভায় বসে পড়ছে, কখনও বাসরাস্তার ধারে গজিয়ে ওঠা চায়ের দোকানে লুঙ্গি গুটিয়ে বসে মিঠুনের ‘সিনামা’ দেখছে, দেখছে মানুষকে ঘিরে ধরে পিটিয়ে মারতে মানুষের সে কী উল্লাস, দেখছে মানুষ নিজের দুঃখ কষ্টে বুক আউলে কাঁদতেও অন্য মানুষের ভরসায় বসে আছে, আবার সেই মানুষই মরতে মরতেও ভুল স্বধর্ম আঁকড়ে চেতনার ওপারে যেতে চাইছে। এসবের ধার ঘেঁষেই আলতো উঁকি মেরে মেরে যেতে চেয়েছেন লেখক। পকেটে হাতটা ভরে, আলগোছে পা ফেলে ফেলে। এদেরই কারোর পাশে বসে একটা বিড়ি একটু আগুন এগিয়ে দিতে চেয়েছেন। এভাবেই একটা আধটা গল্প। এভাবেই ভিড়ের ভেতর...
যাত্রী(প্রথম খণ্ড)-দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য
শোভন বাঙলা লোকগানের জেলাওয়াড়ি একটা ক্যাটালগ বানিয়ে তুলতে চায়। এরই সঙ্গে নিজের এলাকায় শিক্ষাবিস্তারে সে গড়ে তুলেছে একটি বিদ্যামন্দির। গানের খোঁজে, জ্ঞানের সন্ধানে শোভনের এ যাত্রা সহজিয়া পথে। কিন্তু যে কোনও পথচলার মতোই নানা ওঠাপড়া এবং তীব্র ঘাত-প্রতিঘাতে এ কাহিনি হয়ে উঠেছে জীবনের মতো বিস্তৃত। দেবজ্যোতি ভট্টাচার্যের সুবিশাল উপন্যাস যাত্রীর প্রথম খণ্ড সৃষ্টিসুখ প্রকাশন থেকে প্রকাশ পাচ্ছে কলকাতা বইমেলা ২০১৬-য়। প্রচ্ছদ এঁকেছেন পার্থপ্রতিম দাস।
হে একটি সম্বোধন-সঙ্ঘমিত্রা হালদার
হে জীবন যে উঁকি দিচ্ছ এমন নিত্য, অহরহ— যেন পাখি ঠোঁটে নিয়ে উড়তে ভুলে গেছে" সঙ্ঘমিত্রা হালদারের কবিতা সংকলন 'হে একটি সম্বোধন'-এর প্রকাশ সময়ের অপেক্ষা এখন। সৃষ্টিসুখ প্রকাশন-এর এই বইটির প্রচ্ছদ করেছেন পার্থপ্রতিম দাস।