2018

ঢেউ এবং সংকেত-সৌমনা দাশগুপ্ত

২০০৮-এ কৃত্তিবাস পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। তারপর এক দশক তাঁর আর কোনও কবিতার বই প্রকাশিত হয়নি। ২০১৮-র কলকাতা বইমেলায় প্রকাশিত হতে চলেছে সৌমনা দাশগুপ্তের তৃতীয় কবিতা সংকলন 'ঢেউ এবং সংকেত'। সৃষ্টিসুখ প্রকাশনের স্টল (442) থেকে সংগ্রহ করা যাবে বইটি। প্রচ্ছদ পার্থপ্রতিম দাস। ======= যে দৃশ্যগুলো বসে আছে ছবি হবে বলে, তাদের অনুবাদ করা যায় না একটি পূর্ণিমার জন্য বসে বসে হাঁফিয়ে উঠেছে যেই নদী, তার অনুবাদ দরজার জন্য বসে যে ঘর ধানের জন্য যে গোলা বর্ষার জন্য যে ব্যাঙ রং তুলি সব তৈরিই আছে শুধু একথালা ভাতের জন্যই জুঁইফুল অনুবাদ করা যাচ্ছে না

Continue Reading →

চেনা আলো চেনা অন্ধকার-বিমোচন ভট্টাচার্য

বিমোচন ভট্টাচার্য-র লেখার জনপ্রিয়তা নিয়ে সামান্য বিশ্লেষণ করলেই দেখা যায়, তাঁর লেখাগুলো আমাদের মতো সাধারণ মানুষের সঙ্গে আড্ডা দেয়। বিখ্যাত পিতার (মধুসংলাপী বিধায়ক ভট্টাচার্য) পুত্র হওয়ার কারণে বাংলা চলচ্চিত্র ও থিয়েটারের বহু পরিচিত ও বিখ্যাত মানুষকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে তাঁর ছোটবেলা থেকেই। আর এসবের সঙ্গে আছে তাঁর নিজের জীবনের আপাত-সাধারণ নানা পর্যবেক্ষণ। আসলে অভিজ্ঞতা শুধু প্রত্যক্ষ করাতেই শেষ হয় না। তাকে ধারণ করার মতো আধারও জরুরি দারুণভাবে। বিমোচনবাবুর লেখা সেটাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। গতবছর বইমেলায় তাঁর 'তোমার পরশ আসে' প্রকাশের পরে যে ভালোবাসা পাঠককুল ফিরিয়ে দিয়েছেন, তা এককথায় আমাদের জন্যে অভূতপূর্ব। এই বছর কলকাতা বইমেলায় প্রকাশিত হতে চলেছে...

Continue Reading →

বইমেলা ও সৃষ্টিসুখের ইতিবৃত্ত – রোহণ কুদ্দুস

বইমেলা উপলক্ষে সৃষ্টিসুখ-এর বইয়ের প্রচ্ছদ, খবর, প্রিভিউ, টিজার ফেসবুকে শেয়ার করতেই থাকব। তাতে অজস্র মানুষ প্রশংসাও করতে থাকবেন। অনেকেই গিয়ে বইগুলো আমাদের স্টল থেকে কিনবেনও। কিন্তু যেহেতু সৃষ্টিসুখ-এর 'মুখ' (বা মুখপাত্র, যা বলবেন) হিসাবে আমি কাজ করি, তাই আমাদের টিমের বাকিদের কথা জানতেই পারেন না অনেকে। বলাই বাহুল্য, এই কর্মযজ্ঞ সামাল দেওয়া আমার একার কম্মো নয়। তাই আসুন, বইমেলার ব্যস্ততা শুরু হওয়ার আগে একবার দেখে নেওয়া যাক কারা আছেন এই বইমেলায় সৃষ্টিসুখ-এর বইগুলো সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে আপনাদের সামনে পেশ করার নেপথ্যে। প্রথমেই বলে নিই আমাদের ইলাস্ট্রেটার এবং কভার ডিজাইনারদের কথা। অরিজিৎ ঘোষ আমাদের সঙ্গে কাজ শুরু করেছে সদ্য। ওর...

Continue Reading →

চার-প্রবীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

থ্রিলার, কল্পবিজ্ঞান, ইতিহাস, মানবিক — এই বিষয়গুলো নিয়ে ‘চার’। চারটি নভেলাকে আলাদা করে অবশ্য কোনও নির্দিষ্ট ধারায় শ্রেণিভুক্ত করা যায় না। প্রতিটি কাহিনিতেই কমবেশি এই লক্ষণগুলো বিদ্যমান। প্রবীরেন্দ্রর গল্পের বিষয় ডিসটোপিয়ান পৃথিবীতে কয়েকজন কিশোরের অ্যাডভেঞ্চার, অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞানের তিব্বত যাত্রা, মানুষের নিয়তি-নিয়ন্ত্রক কম্পিউটার থেকে শুরু করে আটলান্টিকের গভীরে সাবমেরিনে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের স্পাই-কাউন্টার স্পাইয়ের মারণখেলা পর্যন্ত অনায়াসে যাতায়াত করে। এই মুহূর্তে যে কয়েকজন লেখক বাংলা কিশোরসাহিত্যে নতুন করে প্রাণবিন্দু সঞ্চারের চেষ্টায় আছেন, প্রবীরেন্দ্র তাঁদের মধ্যে অন্যতম।

Continue Reading →

নাইন্থ সিমফনি-অশোক ঘোড়ই

যে সমস্ত কবির প্রথম বই সৃষ্টিসুখ গত সাত বছরে প্রকাশ করেছে, তাঁদের তালিকায় যুক্ত হল অশোক ঘোড়ইয়ের নাম। গদ্য কবিতার সংকলন 'নাইন্থ সিমফনি' কলকাতা বইমেলা ২০১৮-য় সৃষ্টিসুখ-এর স্টলে (442) পাওয়া যাবে। প্রচ্ছদ - পার্থপ্রতিম দাস।

Continue Reading →

সুজনকথা-সুজন দাশগুপ্ত

যে লোকটি তেইশ বছর বয়সে দেশ ছেড়ে পঞ্চাশ বছর মার্কিন মুলুকে কাটালেন, তাঁর ঝুলিতে গল্প তো থাকবেই। আর তিনি যদি হন সুলেখক? সোনায় সোহাগা। সুজন দাশগুপ্তের স্বভাবসিদ্ধ উইট, হিউমারে ভরা আত্মকথন 'সুজনকথা'। দেবাশীষ রায়ের করা প্রচ্ছদ আর অলংকরণে সজ্জিত বইটি কলকাতা বইমেলা ২০১৮-য় থাকছে সৃষ্টিসুখ-এর স্টলে (442)।

Continue Reading →

শাফুং-সুবর্ণা রায়

মুঙ্কিদিদি চলে যাচ্ছে। বাড়ি। দু-দিন ছিল মোটে। পাঁচতলার ওপর থেকে নিচে দাঁড়ানো গাড়িটা দেখতে পাচ্ছে ঋজু, গ্রিলের ফাঁক দিয়ে। বাবা আর মেসো ব্যাগ-ট্যাগ নিয়ে গেছে। মা, মাসি এখনও বসার ঘরে। জরুরি কথা কিছু বলে নিচ্ছে। মুঙ্কিদিদি একবার বারান্দায় আসছে, ঋজুকে জড়িয়ে আদর করছে, আবার ঘরে গিয়ে কিছু করে আসছে। অনর্গল বকতে পারে মুঙ্কিদিদি। ঋজুর কী যে ভালো লাগে! এই দু-দিন কত গল্প শুনিয়েছে! রূপকথার গল্প বেশি পছন্দ ঋজুর। যেসব গল্পে দুষ্টু লোকেরা শেষে খুব শাস্তি পায়, হারানো শিশু ফিরে পায় মা-র কোল, মরুভূমির দেশে মন্ত্রবলে বসন্ত এসে পড়ে — সেইসব গল্প মুঙ্কিদিদি এক নিশ্বাসে বলে যায়। ঋজু গোগ্রাসে গেলে। এবার...

Continue Reading →

স্বপ্নের ভিতর – দেবাশিস সেনগুপ্ত

অণুগল্পের শেষ মোচড়টা আগে থেকে ছকে রাখা। কিস্তিমাত ধরনের ব্যাপার আর কী। পাঠক আগে থেকে দেখতে পেলে মজাটাই মাটি। তাই মগজের ব্যবহার জরুরি। কিন্তু আদতে তো সাহিত্যই। তাই হৃদয়। দেবাশিস সেনগুপ্তের নতুন বইয়ে এই দুটোর প্রয়োগ এমনভাবে মিলেমিশে গেছে যে, প্রিয় পাঠক, বইটা হয়ে উঠতে চলেছে সার্থক পেজটার্নার। একটার পর একটা গল্প আপনাকে টেনে রাখবে বইয়ের পাতায় পাতায়। শুধুই কি গল্প? এই বইয়ের আরও এক পাওনা সুমিত রায়ের জাদুতুলি। প্রচ্ছদ আর অলংকরণ মন ভরিয়ে দেয়। কলকাতা বইমেলা ২০১৮-য় সৃষ্টিসুখের স্টলে (৪৪২) বইটি পাওয়া যাবে।

Continue Reading →

স্বপ্নবেলায়-সব্যসাচী সেনগু

ছেলেটা গল্প শুরু করল। ছেলেটা এত গল্প কোথায় যে পায় কে জানে। হয়তো কোথাও পড়েছে, হয়তো কখনও ভেবেছে। কিন্তু ওর কেবলই মনে হয়, ও যেন এই গপ্পোগুলোতে ছিল... ও যেন এগুলো দেখেছে চোখের সামনে... ছেলেটা বলে যায়। চাঁদের আলো অশ্বত্থের পাতার মাঝ দিয়ে ছাদে ইকিরমিকির কাটছে। প্যাঁচা ডাকছে চ্যাঁ চ্যাঁ। গল্প এগোয়। বৃত্তটা ক্রমশ ছোট হতে থাকে। চোখ জুলজুল। আর ছেলেটার চোখ দিয়ে ঝরঝর করে জল পড়ছে গল্প বলতে বলতে। ওর এরকম হয়। ভয়, খুশি, আনন্দ, দুঃখ — সবেতেই চোখ দিয়ে জল পড়ে। ভাগ্যিস অন্ধকারে কেউ খেয়াল করছে না। পুরুলিয়াতে ছেলেটার যে প্রিয়বন্ধু, চশমাচোখ, দুই বিনুনি, সে বলে, “নাটক!” তা...

Continue Reading →

সৌজন্যে সৃষ্টিসুখ – রোহন কুদ্দুস

সৃষ্টিসুখ-এর সৌজন্যে নানা রকম মজার অভিজ্ঞতা রোজ হয়। ছোট বড়। যেমন, আগের বইমেলায় একদিন স্টল গোছানোর আগে বিশ্বজিৎকে অমিতাভদা বলছে পরের দিন কোন কোন বই আউটলেট থেকে স্টলে আনতে হবে। বেশ কয়েকটার পর আমি বললাম, "নোট করে নাও, নাহলে ভুলে যাবে।" বিশ্বজিতের চকিতে উত্তর -- "মাথায় কম্পিউটার বসানো আছে।" আমার যুগপৎ বিরক্তি আর অবিশ্বাস দেখে পাশ থেকে বাপির (নাকি অমিতাভদার?) মন্তব্য -- "সেই জন্যেই মাথাটা অত বড়।" এসব ঘটনা পরে কাউকে শোনালে বলেন, "একটা বই লিখে ফ্যালো।" বই তো লিখবই পরে। আর সেই বইয়ে একটা চ্যাপ্টার নিশ্চিত থাকবে সুমিতদাকে নিয়ে। প্রচ্ছদ আর ইলাস্ট্রেশানের মেল চালাচালিও যে মজার হতে পারে... সাধারণত কোনও...

Continue Reading →