Mriganka Majumder

ত্রিস্তর-রাজর্ষি দাশ ভৌমিক

  সব স্বৈরাচারীই কি একলা? প্রশ্নটা করার পরেই মনে হল শ্রীমন্ত নস্কর কি আদৌ স্বৈরাচারী ছিলেন? নাটকের দল ছিল তাঁর। গাঁ-গঞ্জে থিয়েটার করে বেড়াতেন। হঠাৎ একদিন পার্টি থেকে তাঁকে ভোটে দাঁড় করিয়ে দেয়। তখন দেশ জুড়ে অন্য হাওয়া, শ্রীমন্ত এবং তাঁর পার্টির অনেকেই জিতে গেলেন। লেখাপড়া জানার সুবাদে আর থিয়েটার করায় পরিচিত মুখ হওয়ার কারণে তিনিই হলেন তালদা তালদা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। তারপর দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকার পর রাজনীতির নিয়ম মেনে হেরেও গেলেন একদিন। কিন্তু তাঁর দলের বাকিরা থেকেই গেল ক্ষমতায়। পঞ্চায়েত প্রধান নির্বাচিত হলেন শ্রীমন্তর সহযোগী পরান মণ্ডল। তাহলে কি ষড়যন্ত্র করে সরানো হল শ্রীমন্তকে? শ্রীমন্ত ভোটে হেরে [caption id="attachment_4085"...

Continue Reading →

পৃথিবীর বাইরের শহরে-সম্রাজ্ঞী বন্দ্যোপাধ্যায়

  গাছ আজ তার মাটি আর টব নিয়ে হেঁটে চলে যাচ্ছে। আমার মনখারাপ। ওয়াতাশিভা বলছে, ‘আটকিও না’। আটকাচ্ছি না। আমিও আজ জানি, পৃথিবীর যে কোনও স্তরেই কেউ কারও না। অধিকার আসলে একটা মিথ। যে মিথ বা মিথ্যেটা আছে বলেই আমরা কোনো-না-কোনো স্তরে বেঁচে থাকতে পারি। কিন্তু আমি তো ‘সত্যি’ খুঁজতে চেয়েছিলাম, আর তাই... আর কোনও মিথ্যেকে আঁকড়াব না কখনও। গাছ আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে... শেষবারের মতো আমি ওকে বুকের আলো দিচ্ছি। শরীরের জল দিচ্ছি। শেষবারের মতো... হাঁ করে... বাতাস দিচ্ছি ওকে। গাছ এইবার হেঁটে যাচ্ছে। পৃথিবীর এত এত গাছের মধ্যে হারিয়ে যাবে ও। ওর কোনও জন্মদাগ নেই। জন্মব্যথা আছে, আর...

Continue Reading →

আমোদিনীর আরশি-সঙ্গীতা দাশগুপ্তরায়

বাপির যাওয়ার ডাক এল খুব জলদি। যেদিন চলে গেল বাপি, সেদিনই যেন হঠাৎ করে অনেকটা বয়স বেড়ে গেল মামুর। কেবল ঘুরেফিরে মাথা নাড়ে আর বলে, “আমায় ‘গোরাবাবু’ বলে আর কোনোদিন ডাকবে না কেউ!” আমোদিনী চায়ের কাপটা মুড়ির বাটিটা নিয়ে সামনে যায়। এখন তো সে আর ছোটটি নেই। দুজনেই নিঃশব্দে চোখ মোছে। কাজকম্ম মিটিয়ে ফেরার সময় আমোদ মামুর হাত ধরে বলে, “সাবধানে থেকো মামু। তুমি ছাড়া...” মামু ধমকে বলে, “ওসব বলে কাঁদাবি নাকি আবার আমাকে! আমি ঠিক থাকব। তুমি ঠিক থেকো, মা-কে দেখো...” আমোদিনী আশ্বস্ত হয়। মামু তো বলেইছে ঠিক থাকবে। শুধু খেয়াল থাকে না যে কতদিন ঠিক থাকবে সে হিসেব...

Continue Reading →

বিটা ভার্সান

সৃষ্টিসুখ-এর ই-বুক অ্যাপ- বাংলা প্রকাশনার ঐতিহাসিক মুহূর্ত

 

বিটা ভার্সান

শেষমেশ এসে গেল সৃষ্টিসুখ-এর ই-বুক অ্যাপ। কেউ কেউ বলছেন, এটা একটা ঐতিহাসিক ব্যাপার। এর আগে কোনও বাংলা প্রকাশনা নাকি তাঁদের বইয়ের ই-বুক সংস্করণ মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে উপলভ্য করে তোলেননি। ঐতিহাসিক কিনা জানি না, কিন্তু সৃষ্টিসুখ প্রকাশনের এই মোবাইল অ্যাপ-এর বিটা লঞ্চ আমাদের মতো ছোট প্রকাশনার জন্যে স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মুহূর্ত।সৃষ্টিসুখ প্রকাশনের বইগুলির ই-বুক সংস্করণ পড়ার জন্যে এই অ্যাপটি নিচের লিংক থেকে ডাউনলোড করা যাবে। https://play.google.com/store/apps/details…

কেন এই অ্যাপ? পাঠকের কাছে আমাদের বই আরও সহজে পৌঁছে দিতে এই অ্যাপ। আমরা চাই, আপনার হাতের মুঠোয় হাজির হোক আমাদের সমস্ত বই, যে কোনও জায়গায়, যে কোনও সময়। আপাতত অ্যানড্রয়েড অ্যাপ দিয়ে শুরু। কয়েক মাসের মধ্যেই আমরা আই ও এস অ্যাপ (অ্যাপেল-এর জন্যে) নিয়ে আসব।
কীভাবে বই পড়বেন? মূলত সাবস্ক্রিপশানের মাধ্যমে। এক মাস, তিন মাস আর ছ মাসের সাবস্ক্রিপশান করা যাবে। ২৫টি বই নিয়ে অ্যাপটি শুরু করা হয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই যুক্ত হবে বই। কলকাতা বইমেলা ২০১৮-র পর সৃষ্টিসুখ-এর মোট বই হবে ২৩০-এরও ওপরে। আমাদের লক্ষ্য জুন, ২০১৮-র মধ্যে সব বই এই অ্যাপে হাজির করার। গ্রাহক না হতে চাইলেও এক-একটা বই কিনেও পড়তে পারেন। যেমন আপনার ইচ্ছে। তবে ওই যে বলে, দেখাশোনা ফ্রি, কেনাকাটা আপনার ব্যাপার। আপাতত অ্যাপটি কমেন্ট বক্সে দেওয়া লিংক থেকে ডাউনলোড করে ব্যবহার করতেই পারেন। কয়েকটি বইয়ের প্রিভিউ বিনামূল্যে পাওয়া যাবে। পছন্দ হলে অন্য বইও পেমেন্ট করে পড়তে পারেন।

সৃষ্টিসুখ প্রকাশনের মুদ্রিত বই কি তাহলে আর পাওয়া যাবে না? অবশ্যই পাওয়া যাবে। আমরা নতুন বইয়ের গন্ধ থেকে পাঠকদের বঞ্চিত করতে চাই না। আমরা চাই পাঠকদের কাছে মুদ্রণ আর ইলেকট্রনিক দুটো সুবিধাই থাক। পাঠক বেছে নিন, নিজের মতো করে।
আমরা জানি, আরও অনেক অনেক প্রশ্ন অপেক্ষা করে আছে। যে কোনও জিজ্ঞাসা পাঠাতে পারেন sristisukhprokashan@gmail.com –এ।
বাংলা ই-বুকের জন্যে সৃষ্টিসুখ প্রকাশনের ছোট্ট এই পদক্ষেপে বইপোকার বন্ধুদের পাশে চাই আমরা। অ্যাপটি ইনস্টল করে আপনাদের মূল্যবান মতামত জানালে বাধিত হব।

বড়দিনের আগাম শুভেচ্ছা বন্ধুদের। সক্কলে ভালো থাকুন। বই পড়া জারি থাক।

মায়াজন্ম-সেলিম মণ্ডল

এঁটো বাসন-কোসন মেজে মা যখন চকচকে থালায় ভাত বাড়ে হে রাষ্ট্র, তখন তোমার কথা না মনে পড়ে, খেটে খাওয়া বাবার কথা বাবা শিল্প বোঝে না বোঝে, আমরা তিন অভুক্ত প্রাণী রাষ্ট্র নামক কোনও কুয়োর ভিতর আটকে আছি আরও অনেক প্রাণীর সাথে ============= সৃষ্টিসুখ প্রকাশন থেকে কলকাতা বইমেলা ২০১৮-য় প্রকাশ পেতে চলেছে সেলিম মণ্ডলের প্রথম বই 'মায়াজন্ম'। প্রচ্ছদ এঁকেছেন নক্ষত্র সেন।

Continue Reading →

বউ সিরিজ রিভিউ-সুমন সরকার

অঞ্জন চৌধুরীর বউ সিরিজের বইগুলো দেখেছিলেন? চোখের জলে নাকের জলে নাকানি চোবানি খাওয়া সেইসব ছবির রিভিউ আর সঙ্গে আরও কিছু গদ্য নিয়ে সুমন সরকারের এই বইটা পড়ুন এবার। সৃষ্টিসুখ থেকে প্রকাশিত হতে চলা বইটি পাওয়া যাবে কলকাতা বইমেলা ২০১৮-য়। প্রচ্ছদ এঁকেছেন সুমিত রায়।

Continue Reading →

আবছা অ্যালবাম – ইস্টম্যানকালার:ঈশানী রায়চৌধুরী

বুদ্ধদেব গুহ বইটির ভূমিকায় লিখলেন -- ঈশানীর স্মৃতিকথন ‘আবছা অ্যালবাম - ইস্টম্যানকালার’-এর পাণ্ডুলিপি দেখলাম। চোখে এখন দেখতে পাই না, তাই একজন পড়ে শোনাল। শুনে আমি অভিভূত।  ঈশানীর লেখার হাত এবং দেখার চোখ, দুই-ই অত্যন্ত চমৎকার। উত্তর কলকাতার একটি বনেদী বাড়িতে বড় হয়ে ওঠা, তার কলেজ-জীবন এবং যৌথ পরিবারের আবহ, এই সবকিছু ফুটে উঠেছে এই লেখায়। তার দাদুর স্নেহ এবং প্রশ্রয় তাকে যেভাবে ঘিরে ছিল বর্মের মতো এবং দাদুর মৃত্যু... সেই বর্ণনা দিয়ে এই বইয়ের শুরু। অনুপুঙ্খভাবে। তারপর এসেছে তার লেখাপড়ার জগৎ, বন্ধু-বান্ধবীদের কথা এবং নানা অধ্যাপকের শারীরিক ও চারিত্রিক গুণাবলী সম্বলিত সরস ও সসম্ভ্রম বর্ণনা। রক্ষণশীল সমাজের টুকরো ছবিও এসেছে।...

Continue Reading →

নস্‌রুদ্দীন খোজার কিসসা -নীহারুল ইসলাম

তাঁকে নিয়ে কম বই হয়নি এ পর্যন্ত। তবু আরও একটা রইল নতুন করে। নীহারুল ইসলাম নস্‌রুদ্দীনের বেশ কিছু গল্প বেছে নিয়েছেন তাঁর পরবর্তী বইয়ের জন্যে। নস্‌রুদ্দীন খোজার গল্পগুলো যেমন হয় -- কিছুটা কৌতুক, কিছুটা দর্শন, মুচকি হাসি, হালকা বোকামি। *** খোজা তখন বিপুল ধনসম্পদের অধিকারী। তাঁর বাড়িতে ইয়ারদোস্তের অভাব নেই। খাচ্ছে দাচ্ছে, যাচ্ছে আসছে। দিনরাত্রি কোনও বিরাম নেই। এক পড়শি সব দেখেশুনে একদিন খোজাকে জিজ্ঞেস করল, ‘খোজাসাহেব, আপনার ইয়ারদোস্তের সংখ্যা কত হবে?’ খোজা বললেন, ‘গুনে দেখিনি ভাই।’ ‘তা একবার গুনে দেখুন না! কত হয়?’ ‘আরে গুনব তার সময় কই? ইয়ারদোস্তের খাতিরদারি করতেই তো সব সময় চলে যাচ্ছে। তবে তুমি যখন...

Continue Reading →

হাওয়া শহরের উপকথা-অলোকপর্ণা

অলোকপর্ণা 'ঝিঁঝিরা' লেখার পর লেখক হিসাবে বেশ কিছুটা রাস্তা পেরিয়ে এসেছে। বর্ণনা আরও সংযমী হয়েছে, ভাষা আরও বলিষ্ঠ। নতুন লেখকদের জন্যেই সৃষ্টিসুখ, র বই করতে গিয়ে সেই কথাটাই বারবার মনে পড়ে যায়। দ্বিতীয় গদ্য সংকলন 'হাওয়া শহরের উপকথা'র প্রচ্ছদ এঁকেছেন আর এক তরুণ তুর্কি, সৃষ্টিসুখ পরিবারের নতুন সদস্য নক্ষত্র সেন।

Continue Reading →

ফিসফাস ৩-সৌরাংশু

ফিসফাস'  জীবনের একটা অবকাশ, নামটা শুনলেই একটা মুচকি হাসি চলে আসে ঠোঁটে। স্মার্ট ভাবনা, স্মার্ট লেখা। জাস্ট পাশে বসে আড্ডা দিচ্ছেন লেখক। কখনও রোজকার দিনযাপন, কখনও পাড়ার রকে যেমন হয় আর কী... সামান্য জ্ঞানদান। তা মন্দ কী! এখন তো আবার হাজির হয়েছে শরণ্যার অ্যাইসি কি ত্যাইসি! 'ফিসফাস ৩'-এর একটা বড় আকর্ষণ। ============ একদিন মক্কেলকে রাতে পিনোক্কিওর গল্প শোনাচ্ছি। মিথ্যে কথা বললে নাকি তার নাক লম্বা হয়ে যেত! তা মিথ্যে কথা কি? সে বোঝাতে জান কয়লা! শেষে বললাম গল্পটা শেষ করি! তাও জিজ্ঞাসা করে, মা মিথ্যে কথা বলে? বাবা বলে? দাদা বলে? মামমাম বলে? দাদাই বলে? পাটকান বলে? গুট্টিগুতুম বলে? ঠাম্মি...

Continue Reading →