Blog

শাফুং-সুবর্ণা রায়

মুঙ্কিদিদি চলে যাচ্ছে। বাড়ি। দু-দিন ছিল মোটে। পাঁচতলার ওপর থেকে নিচে দাঁড়ানো গাড়িটা দেখতে পাচ্ছে ঋজু, গ্রিলের ফাঁক দিয়ে। বাবা আর মেসো ব্যাগ-ট্যাগ নিয়ে গেছে। মা, মাসি এখনও বসার ঘরে। জরুরি কথা কিছু বলে নিচ্ছে। মুঙ্কিদিদি একবার বারান্দায় আসছে, ঋজুকে জড়িয়ে আদর করছে, আবার ঘরে গিয়ে কিছু করে আসছে। অনর্গল বকতে পারে মুঙ্কিদিদি। ঋজুর কী যে ভালো লাগে! এই দু-দিন কত গল্প শুনিয়েছে! রূপকথার গল্প বেশি পছন্দ ঋজুর। যেসব গল্পে দুষ্টু লোকেরা শেষে খুব শাস্তি পায়, হারানো শিশু ফিরে পায় মা-র কোল, মরুভূমির দেশে মন্ত্রবলে বসন্ত এসে পড়ে — সেইসব গল্প মুঙ্কিদিদি এক নিশ্বাসে বলে যায়। ঋজু গোগ্রাসে গেলে। এবার...

Continue Reading →

স্বপ্নের ভিতর – দেবাশিস সেনগুপ্ত

অণুগল্পের শেষ মোচড়টা আগে থেকে ছকে রাখা। কিস্তিমাত ধরনের ব্যাপার আর কী। পাঠক আগে থেকে দেখতে পেলে মজাটাই মাটি। তাই মগজের ব্যবহার জরুরি। কিন্তু আদতে তো সাহিত্যই। তাই হৃদয়। দেবাশিস সেনগুপ্তের নতুন বইয়ে এই দুটোর প্রয়োগ এমনভাবে মিলেমিশে গেছে যে, প্রিয় পাঠক, বইটা হয়ে উঠতে চলেছে সার্থক পেজটার্নার। একটার পর একটা গল্প আপনাকে টেনে রাখবে বইয়ের পাতায় পাতায়। শুধুই কি গল্প? এই বইয়ের আরও এক পাওনা সুমিত রায়ের জাদুতুলি। প্রচ্ছদ আর অলংকরণ মন ভরিয়ে দেয়। কলকাতা বইমেলা ২০১৮-য় সৃষ্টিসুখের স্টলে (৪৪২) বইটি পাওয়া যাবে।

Continue Reading →

স্বপ্নবেলায়-সব্যসাচী সেনগু

ছেলেটা গল্প শুরু করল। ছেলেটা এত গল্প কোথায় যে পায় কে জানে। হয়তো কোথাও পড়েছে, হয়তো কখনও ভেবেছে। কিন্তু ওর কেবলই মনে হয়, ও যেন এই গপ্পোগুলোতে ছিল... ও যেন এগুলো দেখেছে চোখের সামনে... ছেলেটা বলে যায়। চাঁদের আলো অশ্বত্থের পাতার মাঝ দিয়ে ছাদে ইকিরমিকির কাটছে। প্যাঁচা ডাকছে চ্যাঁ চ্যাঁ। গল্প এগোয়। বৃত্তটা ক্রমশ ছোট হতে থাকে। চোখ জুলজুল। আর ছেলেটার চোখ দিয়ে ঝরঝর করে জল পড়ছে গল্প বলতে বলতে। ওর এরকম হয়। ভয়, খুশি, আনন্দ, দুঃখ — সবেতেই চোখ দিয়ে জল পড়ে। ভাগ্যিস অন্ধকারে কেউ খেয়াল করছে না। পুরুলিয়াতে ছেলেটার যে প্রিয়বন্ধু, চশমাচোখ, দুই বিনুনি, সে বলে, “নাটক!” তা...

Continue Reading →

সৌজন্যে সৃষ্টিসুখ – রোহন কুদ্দুস

সৃষ্টিসুখ-এর সৌজন্যে নানা রকম মজার অভিজ্ঞতা রোজ হয়। ছোট বড়। যেমন, আগের বইমেলায় একদিন স্টল গোছানোর আগে বিশ্বজিৎকে অমিতাভদা বলছে পরের দিন কোন কোন বই আউটলেট থেকে স্টলে আনতে হবে। বেশ কয়েকটার পর আমি বললাম, "নোট করে নাও, নাহলে ভুলে যাবে।" বিশ্বজিতের চকিতে উত্তর -- "মাথায় কম্পিউটার বসানো আছে।" আমার যুগপৎ বিরক্তি আর অবিশ্বাস দেখে পাশ থেকে বাপির (নাকি অমিতাভদার?) মন্তব্য -- "সেই জন্যেই মাথাটা অত বড়।" এসব ঘটনা পরে কাউকে শোনালে বলেন, "একটা বই লিখে ফ্যালো।" বই তো লিখবই পরে। আর সেই বইয়ে একটা চ্যাপ্টার নিশ্চিত থাকবে সুমিতদাকে নিয়ে। প্রচ্ছদ আর ইলাস্ট্রেশানের মেল চালাচালিও যে মজার হতে পারে... সাধারণত কোনও...

Continue Reading →

স্ফটিক বাড়ি ও অন্যান্য গল্প-এশরার লতিফ

  কলকাতা বইমেলা ২০১৮-য় সৃষ্টিসুখ থেকে যে গল্প সংকলনগুলো প্রকাশ পেতে চলেছে, তার মধ্যে নিঃসন্দেহে একটি উল্লেখযোগ্য বই এশরার লতিফের 'স্ফটিক বাড়ি ও অন্যান্য গল্প'। এশরারের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ প্রায় এক দশকের, সৃষ্টি গল্প প্রতিযোগিতার মাধ্যমে। ওঁর স্ফটিক বাড়ি গল্পটি ছিল পুরস্কারপ্রাপ্ত গল্পের তালিকায়। তারপর এই লেখকের গল্প আমরা নিয়মিত পেয়েছি পত্রিকার পাতায়। তবে এপার বাংলায় প্রথম বই হয়ে বেরোতে চলেছে সেইসব গল্প। যারা এশারার লতিফের গল্পের সঙ্গে পরিচিত নন, তাঁরা Sristisukh E-Book অ্যাপ থেকে নমুনা হিসাবে এই বইয়ের দুটি গল্প পড়ে নিতে পারবেন। অ্যাপ ডাউনলোডের লিংক বইটির প্রচ্ছদ করেছেন লেখক।

Continue Reading →

ব্ল্যাক ফরেস্ট-তুষ্টি ভট্টাচার্য

ওর গাড়ির মধ্যে মাথা গুঁজে থাকা থেকে পরাবাস্তব ধারণাগুলো জন্মেছে পাংচার টায়ার থেকে পেরেক খুলে নেওয়ার পরে মেরামতির জন্য যে সব ফালতু টুকরো জুড়ে দেয় সেখানেও জাদু ধারণাগুলো থাকে  আমি অদৃশ্য হয়ে সেই রোবটগুলোর থেকে অনেকটা ধাতু চুরি করি আর বালির ছাঁচে ঢেলে দিই গলিয়ে শক্ত হতে হতে দেখি ঝনঝন সুরে বাজে কেউ সদ্য জন্মানো ধারণার মতো বাজে ====== কলকাতা বইমেলা ২০১৮-য় প্রকাশ পেতে চলেছে তুষ্টি ভট্টাচার্য-র কবিতা সংকলন 'ব্ল্যাক ফরেস্ট'। সৃষ্টিসুখ প্রকাশনের এই বইটির প্রচ্ছদ করেছেন পার্থপ্রতিম দাস।

Continue Reading →

টুপুর টাপুর রূপকথাপুর-দেবাশিস্‌ বসু

একটা ছড়া রূপকথাপুর দুপুরবেলার গান দুপুর কোথায়? সুর এঁকে যায় টুপুরটাপুর ধান। একটা ছড়া উড়াল পাখি সেই ঢেলেছে সুর অমনি দেখি খিলখিলিয়ে মেঘ হাসে গুড় গুড়। ====== হ য ব র ল থেকে প্রকাশিত হতে চলেছে দেবাশিস্‌ বসুর 'টুপুর টাপুর রূপকথাপুর'। প্রচ্ছদ এঁকেছেন ওঙ্কারনাথ ভট্টাচার্য। ভেতরের পাতাগুলো ছবিতে ভরিয়ে দিয়েছেন বিজন কর্মকার।

Continue Reading →

দিন কাটে পালকের শোকে-সরদার ফারুক

আমরা ভেবেছি একদিন সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে দেখা হলে বাড়িওয়ালা হাসিমুখে জানতে চাইবে কুশল সংবাদ মোড়ের কুকুরগুলো শান্ত-ভদ্র হবে খুব রাতে চেঁচামেচি করে ঘুম ভাঙাবে না বোকার মতন আমিও চেয়েছি খবরের পাতা জুড়ে ছাপা হবে গণচুম্বনের ছবি ========= সরদার ফারুকের কবিতা সংকলন 'দিন কাটে পালকের শোকে' প্রকাশিত হতে চলেছে কলকাতা বইমেলা ২০১৮-য়। সৃষ্টিসুখ-এর এই বইটির প্রচ্ছদ করেছেন দীপাঞ্জন বোস।

Continue Reading →

ইহদিল্লি শহরনামা-রবীন্দ্র গুহ

পাণ্ডুলিপি পাঠিয়ে লেখক বলেছিলেন, "তোমাদের অনেক নাম শুনে ভরসা করে এই পাণ্ডুলিপিটা পাঠাচ্ছি।" কতটা ভরসা করেছিলেন লেখক? পাণ্ডুলিপির মূল কপি (যেটা তিনি কাগজে কলমে লিখেছেন নিজে হাতে, সেই কপি) ডাকযোগে পাঠিয়েছিলেন। আমরা আশ্বাস দিয়েছিলাম, যথাযথ যত্নে কাজ হবে। এই উপন্যাস প্রকাশ পাওয়ার কথা ছিল আগের বছর বইমেলায়। কিন্তু কম্পোজ হয়ে প্রথম প্রুফ দেখা হয়ে আসার পরে লেখককে ফোন করে আমাদের অপারগতার কথা জানাই। যে পরিমাণ মনোযোগ এই বই দাবি করে, সেটা সেই মুহূর্তে আমার ভাঁড়ারে ছিল না। সাধারণ বাংলা গদ্যভাষা তো সেটা নয়। বাংলার সঙ্গে হিন্দি, উর্দু, হরিয়ানভি, পাঞ্জাবি মিলেমিশে সে এক বিচিত্র আস্বাদ। রেড ওয়াইনের মতো তারিয়ে তারিয়ে গ্রহণ করতে...

Continue Reading →

জিনকার্ডের প্রজাপতি-সুমন মহান্তি

সুমন মহান্তি নয়ের দশক থেকে লেখালেখি শুরু করেছেন বিভিন্ন লিটল ম্যাগাজিনের হাত ধরে। ১৯৯৫ সালে সাপ্তাহিক বর্তমানে ‘চন্দ্রমল্লিকা’ গল্প প্রকাশের মাধ্যমে বৃহত্তর পাঠকবৃত্তে আত্মপ্রকাশ। গল্প প্রকাশিত হয়েছে দেশ, বর্তমান রবিবার, সাপ্তাহিক বর্তমান, সানন্দা, নন্দন, ভাষাবন্ধন, শিলাদিত্য, তথ্যকেন্দ্র, অদ্বিতীয়া, গল্পগুচ্ছ ছাড়াও অনেক উল্লেখযোগ্য পত্রিকায়। এ পর্যন্ত চারটি গল্পগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। ‘জিনকার্ডের প্রজাপতি’ তাঁর নিজের প্রিয় পনেরোটি ছোটগল্পের এক কাঙ্ক্ষিত সংকলন। সৃষ্টিসুখ থেকে প্রকাশিতব্য এই বইটির নির্বাচিত তিনটি গল্প পড়া যাবে Sristisukh E-Book অ্যাপে। অ্যাপ ডাউনলোডের লিংক এখানে প্রচ্ছদশিল্পী - পার্থপ্রতিম দাস

Continue Reading →