‘চৌকাঠে কাদা দেখলেই মনে হয়-
কেউ এসেছিল।’
এ পঙক্তির মধ্যে যে ইঙ্গিতময়তা ও অভিসার তুলে রাখা, যে প্রেম ও বেদনার সম্মিলন তাই-ই যেন একান্তে এঁকে রাখতে চায় মন্দিরতলার মেয়ের আভাসটুকু। কিন্তু তাকে তো দেখা হয়নি। ফলে ওই কল্পনাটুকুই সত্যি। যেমন কবিতা। সে-ও তো বিমূর্ততারই শিল্প। মন্দিরতলার মেয়েরও কোনও মূর্তি হয় না। শুধু সমকাল ছুঁয়ে, কালের ব্যাধি ছুঁয়ে সে যেন ধীরে ধীরে সমস্ত ক্ষতের জন্য করে প্রলেপের আয়োজন। সমস্ত ব্যর্থতার উপর বৃষ্টি ঢেলে দিতে পারে সে। এসব হয়তো সত্যি। কিংবা নয়। কারণ কবিতার জন্ম হয় পাঠকের বোধে, তাঁর ইন্টারপ্রিটেশনে। যেভাবে ধরা দেয় মন্দিরতলার মেয়েও, আভাসে, ইঙ্গিতময়তায়।
তরুণ কবি সাহেবুল হক তাঁর এমনই দ্যুতিময় সকল পঙক্তি তুলে রেখে দিয়েছেন তাঁর প্রথম বই ‘মন্দিরতলার মেয়ে’-তে।
প্রচ্ছদঃ অভিব্রত সরকার
Be the first to review “মন্দিরতলার মেয়ে”