পৃথিবীর গভীর গভীরতর অসুখ এখন– ক্রান্তদর্শী কবির এ অনুভব আমরা এখন যাপনের পোড়া গন্ধে নিয়ত টের পাই। তবে এই অসুখ সারাতে গেলে আগে তার লক্ষণগুলি শনাক্ত করা আবশ্যক। যেমন অরুন্ধতী রায় বলেন, ‘ইট হেল্পস টু আউটলাইন দ্য শেপ অফ দ্য বিস্ট টু ব্রিং ইট ডাউন।’ যে ফ্যাসিজম, যে ফিয়ার সাইকোসিস, যে সিনড্রোম-জে আমাদের আগুনে টেনে এনে আমাদেরই মাংসপোড়া গন্ধের ভিতর বাস করতে বাধ্য করছে, সেই সমস্ত লক্ষণ চিনে নেওয়া জরুরি। জরুরি ফ্যাসিস্টের মুখ আর মুখোশ চিনে নেওয়া। হ্যাঁ, হয়তো আমাদেরই নানা কাজ এই সিস্টেমকে অন্যায়ের পথে পরোক্ষে মূলধন জোগাচ্ছে।
কিন্তু মৌনতার সময় নয় এখন। কিন্তু মৌনতার থেকে সোচ্চার হওয়া বহুগুণে শ্রেয়। মৌনতা সম্মতিই দ্যায়। সারা বিশ্ব জুড়ে ফ্যাসিস্ট শক্তির আবার উত্থান হচ্ছে। এই কঠিন সময়ে, সেক্ষেত্রে প্রাথমিক কাজই হচ্ছে থাবা বাড়াতে আসছে যে ভয়ানক দানবীয় অবয়ব, তার চেহারাটাকে চিনে নেওয়া। ‘আউটলাইন’ করা। সময়ের ক্ষত সম্পর্কে সম্যক ধারণাই একমাত্র প্রতিবাদ-প্রতিরোধের পথ খুঁজে নিতে পারে। একজন সময়-সমাজ সচেতন লেখক হিসেবে অনামিকার কলম সে পথ চিনে নেওয়ারই জোরালো দাবীদার । অনামিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ডাইয়াস্পোরার লেখক। কর্ম-দেশ আমেরিকা আর জন্ম দেশ ভারত, দুই দেশের সমাজ, রাজনীতি, লড়াই আর বেঁচে থাকার আখ্যান এই চাই-ল্যাটে। রাজনীতি, সমাজনীতি, মাস কালচার বা হিস্টেরিয়া, সর্বোপরি দুই দেশের সাধারণ মানব-মানবী জীবনের কথকতা, যা নিছক প্রবন্ধ নয়।
প্রচ্ছদঃ রোহণ কুদ্দুস
Be the first to review “চাই-ল্যাটে”