পথের পাঁচালী’তে কি বিভূতিভূষণকে যথাযথ স্বীকৃতি দেননি সত্যজিৎ? উপেন্দ্রকিশোরের ইংরেজি প্রবন্ধ বিষয়ে কী কী জানা যায়? এই যে ঝোলা কাঁধে ঘুরে দেখা বইমেলা, সেই ঝোলার উৎপত্তি কী থেকে? কার ভাবনাতেই বা ধরা দিল এ-বস্তুটি? এই যে আমরা বলে থাকি ‘রথ দেখা কলা বেচা’, সে-কথাটিই বা এল কোত্থেকে?
না প্রশ্নগুলো সোজা, না উত্তরটি জানা। তবে প্রশ্ন যতই ঘোরালো হোক না কেন, উত্তর জানতে ঘুরেফিরে অবধারিত গন্তব্য – দেমু। পোশাকি নাম দেবাশিস মুখোপাধ্যায়। কিন্তু সহকর্মী, সহলেখক থেকে অনুজ সাহিত্যানুরাগী সকলের কাছেই তিনি এক এবং অদ্বিতীয় দেমু। যা কিছু না-জানা, যা কিছু স্বল্পচর্চিত, যা-কিছু এই সময়ের দৃষ্টির বাইরে চলে যেতে বসেছে, সেই সবকিছুকেই পরম যত্নে সংগ্রহ করে আধুনিক প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে নিরলস তিনি। অনর্থক সংশয়-দ্বিধার জাল যাতে পড়া ও জানার আনন্দকে এতটুকু ক্ষুণ্ণ না করে, তাই যাবতীয় মিথ ও মিথ্যের নেপথ্যের সত্যিগুলোকে উজ্জ্বল উদ্ধারে রত দেমু। বিষয় থেকে বিষয়ান্তরে তাঁর অবাধ গতায়াত। আর তেমনই তাঁর জানার ও জানানোর ব্যাপ্তি এবং গভীরতা। শিক্ষিত বাঙালির যে বহুমুখী বিদ্যাচর্চার ধারা, দেমু নিজে যেমন তার সার্থক উত্তরাধিকারী, তেমনই উত্তরসূরিকেও তিনি এই ধারার শামিল করে নিতে চান। তাই নিজের ভাঁড়ারের দরজা খুলে দিতে তিনি কসুর করেন না। ‘দেমু’র নানারকম’ আসলে আলোকিত এক ভুবন, যেখানে সত্যজিৎ থেকে বাংলার সেকালের খেলাধুলো, ভাইফোঁটার খাজা থেকে জগদ্ধাত্রীর শোলার সাজ সবই আছে, না-জানাকে জানার আনন্দ ও উদ্ভাস নিয়ে।
.
দেমু’র নানারকম
দেবাশিস মুখোপাধ্যায়
নিবন্ধ সংকলন
প্রচ্ছদ – দেবাশীষ দেব
অমূল্য
সৃষ্টিসুখ প্রকাশন
Be the first to review “দেমু’র নানারকম”