মৌলবাদের এই সাময়িক আবর্তের মধ্যে বহুত্ববাদের উপাসনা করা কঠিন। কিন্তু আমরা এই বহুত্ববাদকেই ধারণ করতে চাই আমাদের সমস্ত কাজে। আমাদের একটা কথাই ঘোষণা করার- আমাদের কোনও ধর্ম নেই। ইতিহাস রয়েছে।…আমাদের রয়েছে বহুস্তরের, ভুস্বরের এক পৃথিবী। – এই অন্ধকার সময়ে ‘আবহমান’-এ সাম্প্রতিক সংখ্যার সম্পাদকীয়টি প্রদীপশিখার উৎসারিত আলো। কোনও ‘একমেবাদ্বিতীয়ম’- এর পুজো নয়, পাতার পর পাতায় বহুস্বরের প্রতিধ্বনি। শুরুতেই অমর মিত্র তাঁর সাহিত্য-জীবনের কথা লিখতে গিয়ে লিহেছেন, ‘ কুসুমাস্তীর্ণ পথ লেখকের নয়। অনেক প্রত্যাখ্যান, অনেক অপমান তাঁর সমস্ত জীবনের স্মৃতি।’ সুবিনয় হেমব্রমের সাঁওতালি আর দীপক্রঞ্জন ভট্টচার্যের টি এস এলিয়টের কবিতার অনুবাদ সংখ্যাটির আকর্ষণ। আছে, শমীক ঘোষ, সরোজ দরবারের গল্প। গৌতম বসুর ‘নতুনতর কবিতার দিকে’ খুলে দেয় ভাবনার অনে দরজা। আছে অভীক মজুমদার, চৈতালী চট্টোপাধ্যায়, হিন্দোল ভট্টাচার্য, রাণা রায়চৌধুরী, সন্দীপন চক্রবর্তী প্রমুখের কবিতা। সুসম্পাদিত পত্রিকা। বহুর ভিড়ে নিজস্ব চরিত্রে উজ্জ্বল।
— আজকাল, পত্রিকার খবর, ০৮ মার্চ, ২০১৯।
আবহমান
সম্পাদকমণ্ডলী – বেবী সাউ, হিন্দোল ভট্টচার্য, মণিশংকর বিশ্বাস, সন্দীপন চক্রবর্তী, শমীক ঘোষ
Be the first to review “আবহমান”