কে জানে কৃশানু দে কীভাবে আজও হতাশায় নুয়ে পড়া কাউকে হঠাৎ ভরসা জোগান! কে জানে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের উড়িয়ে দেওয়া জার্সি কীভাবে কাউকে দেয় রুখে দাঁড়ানোর সাহস। মেসি-রোনাল্ডো দূর দ্বীপের বাসিন্দা হয়েও কীভাবে ঢুকে পড়তে পারেন কারও ব্যক্তিগত দিনলিপিতে, তার খবর কে রাখে! খেলা নিয়ে লেখা মানে তাই লেখা নিয়ে খেলা নয়। সেখানে স্ট্যাট থেকে টেকনিক সবই গুরুত্বপূর্ণ। জরুরি নিখাদ বিশ্লেষণ। সমালোচনা। নির্মোহ দৃষ্টি। তবু ভারতীয় জলহাওয়ায় খেলা মানে তারও বেশি কিছু। খেলা মানে ময়দানে জ্বলে ওঠা আলো শুধু নয়, তা নিভে যাওয়ার পর থেকে যাওয়া নিস্তব্ধতাটুকুও। খেলা মানে এখানে মিশে যাওয়া জীবন। সমষ্টির আবেগ কখনও ব্যক্তিকে ছুঁতে চায়। আবার ব্যক্তির অনুভব কখনও চিনে ফেলে সমষ্টির স্নায়ু। তরুণ লেখক অর্পণ গুপ্ত খেলাকে এভাবেই উপস্থাপিত করেন তাঁর লেখায়। আবেগে-অনুভবে, জীবনের সংরাগে।
এ বই আসলে তাই এই প্রজন্মের চোখে দেখা অতীতকে। এই প্রজন্মের ভাষায় ছুঁয়ে থাকা সেদিনের ময়দানের মুহূর্তগুলো। এই প্রজন্মের অনুভবে খেলার সঙ্গে মিশে যাওয়া জীবন। এভাবেই ফিরে ফিরে আসে মুহূর্তরা। আবেগ আর উচ্ছ্বাসের পানসি ভাসিয়ে। অতীত থেকে বর্তমানে– এই যে রানিং কমেন্ট্রি, স্কোরবোর্ড অবশ্য তার সব খবর রাখে না। কে না জানে সে চিরকালই গাধা!
Be the first to review “রানিং কমেন্ট্রি / অর্পণ গুপ্ত”