অবন্তিকা পালের কবিতার বই ‘রাজহংসপুরাণ’ প্রকাশিত হল ১০ ডিসেম্বর, ২০২০, বই-চিত্র সভাঘরে, সুমন গুণ, সুমেরু মুখোপাধ্যায়, সামরান হুদা-র উপস্থিতিতে। তিনটি পর্বে বিন্যস্ত অবন্তিকার রাজহংসপুরাণ-এর প্রশংসা করেন কবি-অধ্যাপক সুমন গুণ। কবির কবিতা-ভাবনা, ছন্দ নিয়ে পরীক্ষা ও সচেতন নির্মাণ তাঁকে মোহিত করেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন সুমেরু মুখোপাধ্যায়। অবন্তিকার কবিতার এই কুশলী নির্মাণ ও সমসময়ের প্রতি গভীর-গোপন সচেতনতা-র বিন্দুটিকে স্পর্শের জন্য তিনিও নেমেছিলেন কর্ষণে, জানান সুমেরু। এদিনের অনুষ্ঠানে সদ্য প্রকাশিত বই থেকে কবিতা পড়েন অবন্তিকা।
পরবর্তী পর্যায়ে আলোচনা এগোয় একুশ শতকের বাংলা কবিতা নিয়ে। সমসময়ের কবিতার অমিত শক্তির কথা জোরের সঙ্গে জানিয়ে সুমন গুণ একটি প্রশ্নের কাছে পৌঁছান। বাংলা কবিতা কি সমসময়ের বিপর্যয় থেকে কোথাও একটু দূরত্ব বজায় রাখছে? নাকি আমাদের দর্শনের ভিতরই এই দুরত্ব ঢুকে পড়েছে, যা প্রভাবিত করছে বাংলা কবিতাকেও? এই প্রশ্নচিহ্নটিকে মনোযোগ সহকারে দেখা জরুরি বলে মনে করেন তিনি। সুমেরু জানান, বাংলা কবিতায় এখন স্বাধীনতার উদযাপন অনেকটাই বেশি, এবং সেটাই তার সচেতন ও সুচিন্তিত অবস্থান। সৃষ্টিসুখ প্রকাশনার কর্ণধার রোহণ কুদ্দুস বলেন, সমসময়ের কবিতা বইয়ের পাণ্ডুলিপি নির্বাচনের সময় তিনি লক্ষ রাখেন একজন কবি নিজেকে কতটা চর্চায় এবং পরীক্ষায় নিয়োজিত রেখেছেন। তাৎক্ষণিক জনপ্রিয়তার মোহমুক্ত হয়ে কেউ কবিতার বিশুদ্ধতার কাছে পৌঁছানোর যে চেষ্টা করেন, সেটিই তাঁর কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।
মহামারীতে বিপর্যস্ত সময় পেরোতে-পেরোতে নতুন কবিতার আশ্রয়েই নতুন দিনের স্বপ্ন দেখা সম্ভব, এই প্রত্যয়ের উষ্ণতাই ছড়িয়ে ছিল পুরো অনুষ্ঠানে।
Be the first to review “রাজহংসপুরাণ”