সব গদ্যই মেলানকোলিক

225.00

অনির্বাণ ভট্টাচার্যর গদ্য বই।

তারপর, লিটল প্রিন্স বলল, মরুভূমিকে কেন এত সুন্দর দেখায় জানো? কোথাও না কোথাও এর ভেতর একটা লুকোনো কুয়ো থাকে। আমাদের বিষাদ সেই কুয়ো খুঁজে পেয়েছে। যে ছেলেটা মাঠ না পেয়ে একটা এক কামরার ঘরে চুপসে যাওয়া রবারের বল নিয়ে খেলছে, সে ওই কুয়োয় ঝুঁকে আছে। যারা অনন্ত দূরত্বে বিমানযাত্রার পর বুঝতে পারে এক-একবার আসা যাওয়ায় সোনালি সময়, মুহূর্ত স্রেফ শেষ হয়ে যাচ্ছে, তারা ওই কুয়োর জল নেওয়ার লাইনে দাঁড়িয়ে। একটা নির্জলা উত্তর ভারতের মতো সময়। টুপ, টুপ, টুপ। ব্যথাটা বুক থেকে উঠলেই ভাবছে এত অল্পবয়সি ছেলেমেয়ে চলে যাচ্ছে কেন হঠাৎ। ফোন করতে করতে ওপ্রান্ত থেমে গেলেই চিৎকার করে উঠছে ভয়ে। একটা লোহার ঘোরানো সিঁড়ি জন্মরহস্য ফাঁস করে দিচ্ছে হঠাৎ। সে কার? আসলে সে কার? ক্যালাইডোস্কোপ ঘোরাতে ঘোরাতে ভুল ছাড়া আর বলার মতো কোনও দৃশ্য নেই। একটা বই দুপাতার বেশি পড়তে গেলেই চোখের নিচটা ব্যথা করছে। একটা ভালো ছবি অনর্থক নিজের কথাগুলো বলছে দেখে বিরক্তিতে উঠে আসছে সে। বুঝতে পারছে পাথরটা ঢুকে গেছে চোখের ভেতর, গলার ভেতর, বুকের ভেতর। আমৃত্যু ঠেলা ছাড়া উপায় নেই। সে তুমি দুতিন মিনিট কফি খেয়ে, একটা পাহাড়ে হেঁটে একটু সময় নাও। শেষমেশ পাথরটা কিন্তু ঠেলতে হবেই। পড়ে গেলে আবার কুড়োতে হবে। তারপর আবার ওঠা। মেলানকোলিক লেখাগুলোর সঙ্গে ওঠা। চরিত্রদের সঙ্গে ওঠা। ওপরে, এক্কেবারে ওপরে। ঠিক তখনই, পাখির মতো হালকা মনে হবে শরীর। মনে পড়বে জন বেরিম্যানের কবিতা। ফ্রিজ হয়ে যাবে ফ্রেম।
‘দ্য হাই ওয়ানস ডাই, ডাই। দে ডাই…’

Customer Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “সব গদ্যই মেলানকোলিক”

Your email address will not be published. Required fields are marked *