কী আছে বইটিতে? জয়াবতী নামে এক কিশোরীর অ্যাডভেঞ্চার। বইয়ের একেবারে শুরুতে দেখা যাচ্ছে সে স্পষ্টবক্তা এবং যুক্তিবাদী। উপস্থিত বুদ্ধির জোরে সে তার বাবা-মা এবং গৃহ সহায়িকার প্রাণ বাঁচায়। সে-ই শুরু। পড়াশোনার প্রতি তার আগ্রহ এবং নির্দিষ্ট করে চিকিৎসা সম্পর্কিত বিষয়ে তার কৌতূহলের জেরে তাকে পাঠানো হল কয়েকটা গ্রাম পেরিয়ে সোনাটিকরিতে। সেখানে সেনমশাইয়ের কাছে সে নেবে চিকিৎসাশাস্ত্রের পাঠ। সঙ্গে গেল তার বন্ধু বালবিধবা পুণ্যি।
গল্পের এই শুরু। তারপর ঘটনার ঘনঘটায় একের পর এক চরিত্র এসে মিলবে এই কাহিনিতে। কিন্তু যেটা এই গল্পকে আর পাঁচটা গল্পের থেকে আলাদা করেছে সেটা হল এর আঙ্গিক। এই কাহিনির সময় অনুসারে বাল্যবিবাহ, সতীদাহর মতো ঘটনা খুবই স্বাভাবিকভাবে এসেছে। এসেছে মেয়েদের প্রতি বৈষম্যের একের পর এক উদাহরণ। এবং এইসবের বিরুদ্ধে জয়াবতী তার তীক্ষ্ণ যুক্তি খাড়া করেছে। তার সেইসব যুক্তি বিস্মিত করেছে এমনকি তার আশেপাশে থাকা মহিলাদেরও।
লিঙ্গবৈষম্যের বীজ এবং বিষবৃক্ষ কমবেশি এখনও লালন করে চলি আমরা। তাই বাংলা সাহিত্যের নতুন পাঠকরা যদি এই বইটি হাতে টেনে নেয়, তাতে সবারই মঙ্গল। জয়াবতীর জয়যাত্রার শুরু সেখান থেকেই।
Be the first to review “জয়াবতীর জয়যাত্রা”