“বাংলার ছড়া চাট্টিখানি কথা নয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সুকুমার রায়, অন্নদাশঙ্কর রায় থেকে অমিতাভ চৌধুরী, নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, সুভাষ মুখোপাধ্যায়, সুনির্মল বসু, শঙ্খ ঘোষ, শক্তি চট্টোপাধ্যায়, পূর্ণেন্দু পত্রী, প্রণবেন্দু দাশগুপ্ত, জয় গোস্বামী, মৃদুল দাশগুপ্ত তো রয়েছেনই। তারপর শুভাশিস হালদার, শমীন্দ্র ভৌমিক, তন্ময় চক্রবর্তীরা এলেন। আরও ছড়াশিল্পীরা কাজ করেছেন। অনেকের মতোই, এই অধমও এঁদের সবারই কিছু না কিছু পড়েছে, এখনও পড়ে। চাইলে অনেকের মতো, প্রত্যেকের দু–এক লাইন হয়তো বলেও দিতে পারে। গান শুনতে শুনতে অতি সুর-অজ্ঞেরও নাকি কিছুটা কান তৈরি হয়। কে জানে, তাই হয়তো ছড়া লিখতে না পারলেও, বুঝতে শিখেছি, যে ভাষায় ছড়া থাকে না, সে ভাষায় প্রাণ থাকে না। যে ভাষার ছড়া ফুরিয়ে যায়, সে ভাষা বিমর্ষ হয়ে পড়ে।
অতি মন খারাপের কথা, বাংলায় ছড়া কমে যাচ্ছে। লেখক, সম্পাদক, প্রকাশক, পাঠক সবাই এর জন্য দায়ী। এই সময় ছড়ার নতুন বই হচ্ছে শুনলে শুধু আনন্দ হয় না, উল্লসিত হতে ইচ্ছে করে। ইচ্ছে করে, ডেকে সবাইকে বলি। শান্তনু দেবনাথ, যিনি ‘একক’ নামে লেখালিখি করেন, এই বইটি লিখে সেই সুযোগ করে দিলেন। তাঁকে ধন্যবাদ।”
– প্রচেত গুপ্ত
Be the first to review “শিশুবিতানের হরিং”