“সলিল হাঁটতে হাঁটতে দেখে, এখনও জায়গায় জায়গায় দাঁড়িয়ে সাঁজোয়াগাড়ি। তার পিপ হোল দিয়ে— ওই তো পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে— ব্রেনগানের নল। নলের ডগায় ধোঁয়া ভাসছে কি? এই রক্তাক্ত ধূমায়িত বিভীষিকার মধ্যে শুধু একটি মাত্র স্লোগান সলিলকে উদ্দীপিত করে— ভাই ভাই এক হো।
এবার সে সঞ্চারীতে প্রবেশ করে— আর পারবে না ভোলাতে মধুমাখা ছুরিতে/ জনতাকে পারবে না ভোলাতে— এখানে বেহাগের মাধুর্যের ছায়াপাত ঘটবে। সেই মাধুর্যের ছলনায় শ্রোতা যাতে না ভোলে, তাই এক ক্রুদ্ধ স্লোগানের কাছে মাথা নোয়াতে হবে বেহাগ সুন্দরীকে। — আজ হরতাল, আজ চাকা বন্ধ!”
…উপন্যাসের আধারে সলিল চৌধুরীর কল্প-চরিত। সমসাময়িক ঘটনাক্রমের প্রেক্ষিতে সম্ভাব্য এক জীবনালেখ্য-নির্মাণ, যা ছুঁতে চেষ্টা করেছে এই মহান সংগীতজ্ঞের শিল্পীসত্তা ও তাঁর সৃষ্টি-নির্যাসকে। এবং ব্যক্তি-সলিলের এই সৃষ্টি-জীবনকে তুলে ধরতে গিয়ে উঠে এসেছে ১৯২০ থেকে ১৯৫২ অব্দি বাঙালির রাজনৈতিক অভিযাত্রা ও সাংস্কৃতিক জয়যাত্রার এক সামূহিক চালচিত্র।
Be the first to review “দূর আকাশের আখরে”