সবাই বলে জাদুবুড়ো খুঁজে বেড়ায় ছোটো ছেলেমেয়েদের। একা কোনও বাচ্চাকে পেলেই তুলে নিয়ে আসে ঘরে। তারপর মন্ত্র পড়ে মাটির নীচের ঘরে পাথর বানিয়ে শুইয়ে রাখে আর প্রাণটা তুলে নেয় কালো বোতলের মধ্যে। লোকে বলে ওর বয়স হয়েছে দুশো কী তিনশো। বুড়ো অবশ্য হাত কচলায়, ছাতা পড়া কালো দাঁত দেখিয়ে হাসে আর বলে, “ওসব কিছু না। আমি ছেলেপুলের প্রাণ নিয়ে কী করব অ্যাঁ! এসব কারা রটায় রে বাপু!”
একটা ভীষণ সুন্দর দেখতে ঈগল আছে ওর। হলুদ ঠোঁট, সাদা মাথা আর কালচে বাদামি শরীরের বিরাট ঈগলটা কি সত্যিকারের ঈগল পাখি না আসলে কোনও ছোটো ছেলে সে নিয়েও লোকে আলোচনা করে।
ও থাকে চার্চের পিছনের গলির শেষ মাথার ছোটো বাড়িটায়। পোড়ো বাড়িটার না আছে একটা আস্ত দরজা না আছে জানলা। কিন্তু জাদুর গণ্ডি টানা ও বাড়িতে কেউ কখনও ঢোকেনি। বুড়োকে সব্বাই ভয় পায়। বিশপ অবশ্য বলেন ওর মনে অনেক রাগ, দুঃখ তাই সে মানুষের ভালো সহ্য করতে পারে না। তা সে যা-ই হোক, মোট কথা নিজে যেচে বুড়োর ছায়া কেউ মাড়ায় না।
শীতের দেশের রূপকথা
₹225.00
সঙ্গীতা দাশগুপ্তরায়ের কলমে শীতের দেশের ছটি রূপকথার গল্প।
book-author |
---|
Customer Reviews
There are no reviews yet.
Be the first to review “শীতের দেশের রূপকথা”