আকাশপথে আশ্চর্য ভ্রমণ

299.00

এন পি হাফিজের লেখা কিশোর গল্পের অনুবাদ করেছেন তৃষ্ণা বসাক।

আয়েশা আর সায়ু পাহাড়চূড়ায় পৌঁছল। এর অন্য দিকটা খুব খাড়াই। যেন একটা কেককে মাঝখান থেকে কাটা হয়েছে। সায়ু চিল্লিয়ে ওঠে, “ও মাগো!”
আয়েশা ভয় পায়নি। তার মাথায় একটা প্ল্যান খেলে যায়। সে ঘোষণা করে, “সায়ুটা, থামিস না। একবার পাহাড়টা পেরিয়ে গেলে, আমরা আমাদের সাইকেলে করে উড়তে পারব।”
“ইম্বি!” অবিশ্বাসে সায়ুর চোখ দুটো ঠেলে বেরিয়ে আসে।
“ভীতুর ডিম একটা! তুই আকাশে উড়তে চাস না?”
“আকাশে উড়তে!” সায়ু তখনও বিশ্বাস করতে পারে না।
“দ্যাখ…” আয়েশা গায়ের সমস্ত শক্তি প্যাডেলে দিয়ে সামনে লাফ দিল। সাদা সাইকেলটা পাহাড়ের মাথা থেকে উড়তে শুরু করল। সায়ু চোখ বুজে ফেলল। সে কল্পনা করতে চেষ্টা করছিল আয়েশার জন্যে কী সাংঘাতিক আছড়ে পড়া অপেক্ষা করছে।
সায়ু শুনতে পেল আয়েশা জোরে জোরে হাসছে। সে অবাক হয়ে ভাবল তার চারপাশে সত্যি সত্যি হচ্ছেটা কী। সে চোখ খুলে দেখল আয়েশা তার সাদা সাইকেলে চড়ে আকাশে উড়ছে। সেখান থেকে সে চেঁচিয়ে বলল, “সায়ুটা, জোরে প্যাডেল কর। আমি তোকে ওড়ার ক্ষমতা দেব। আব্রাকাডাব্রা…” আয়েশা তার দিকে হাত নাড়ল।
সায়ু নিচের দিকে তাকাল। সে দেখল নারকেল গাছের পাতা নড়ছে। একটা লাল রঙের বাড়ির সামনেটা দেশলাই বাক্সের মতো দেখাচ্ছে। সে তার পেটে প্রজাপতির ফড়ফড়ানি টের পেল। তার মাথা ঝিমঝিম করছিল। নারকেল গাছগুলো কি আমাকে ডাকছে? সাইকেল চলতে শুরু করল। সায়ু সাইকেলের হাতল দু-হাতে চেপে শক্ত হয়ে বসে রইল। ঝটিতি একটা লাফ, অমনি সায়ু আকাশে।
“ইম্বি, ইম্বি…” খুশিতে ডাক দিল সে।
আয়েশা ডান হাত নেড়ে বলল। “আয় আয়…”
আয়েশা আর সায়ু আকাশের ফুটপাথে উড়তে শুরু করে তাদের যার-যার সাদা আর লাল সাইকেলে চড়ে।
“আকাশে সাইকেল চালানো দারুণ মজার তো!” নিজেকেই বলল সায়ু। রাস্তায় কোনও গর্ত নেই, কোনও বাম্পার নেই, রাস্তা আটকানোর কেউ নেই। লোককে সামনে থেকে সরানোর জন্যে বেল বাজানোর দরকার নেই। যে কোনও দিকে চালানো যায়। এদিক, সেদিক, ডাইনে, বাঁয়ে, ওপর, নীচে…

book-author

translator

তৃষ্ণা বসাক

Customer Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “আকাশপথে আশ্চর্য ভ্রমণ”

Your email address will not be published. Required fields are marked *