সদ্য এমবিবিএস পাশ করা তরুণ ডাক্তার অর্চিষ্মান চাকরি করতে এসেছে এমন এক গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে, যেখানে দীর্ঘদিন কোনও স্থায়ী চিকিৎসক ছিলেন না। নতুন ডাক্তারবাবু এসে দেখল, সেখানে অব্যবস্থার শেষ নেই। পরিস্থিতি যথেষ্ট প্রতিকূল। অথচ প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের বেশিরভাগ মানুষই হতদরিদ্র। শরীর খারাপ হলে সরকারি হাসপাতালই তাদের একমাত্র ভরসা। আর এখান থেকেই সেবার মন্ত্রে দীক্ষিত একজন নীতিনিষ্ঠ চিকিৎসকের লড়াইয়ের শুরু।
আস্তে আস্তে সে টের পায়, প্রতিবন্ধকতাগুলো শুধুমাত্র হাসপাতালের অভ্যন্তরে সীমাবদ্ধ নয়, বরং তার ব্যাপ্তি সুদূরপ্রসারী। ক্রমাগত হুমকি, উপর্যুপরি নিগ্রহ, সহকর্মী এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতা, সব কিছু উপেক্ষা করে সে এগিয়ে চলে। আর এভাবেই দারিদ্র্যক্লিষ্ট অসহায় গ্রামীণ জীবন এবং সর্বগ্রাসী রাজনীতি নগ্ন চেহারা তার দৃষ্টিপথে উন্মুক্ত হতে থাকে।
তবুও চলার পথের বাঁকে বাঁকে সে খুঁজে পায় বেশ কিছু সহৃদয় মানুষকে, যাঁরা নিবিড় ভালোবাসায় ওকে আপন করে নেন। এরই পাশাপাশি ফল্গুধারার মতো তরুণ ডাক্তারের মনের গহীনে বয়ে চলে প্রেম। পরিচয় হয় স্বভাবে সম্পূর্ণ বিপরীত দুজন মেয়ের সঙ্গে। কিন্তু সে যে আসলে কাকে চায়, তা বুঝে উঠতে না পেরে দোলাচলের এক অদ্ভুত গোলকধাঁধায় পাক খেতে থাকে।
Be the first to review “ভীরু এ মনের কলি”