-
-
-
-
স্পর্ধা
গত বছরের একটা সময়ে, আমরা খুব রেগে গিয়েছিলাম। রেগে যাওয়ারই তো কথা। রাতের অন্ধকারে একটা মেয়েকে যদি মেরে ফেলা যায় চুপিচুপি, আর তারপর চোখে পড়ে সেই হত্যার সমস্ত নিশান লোপাট করার তুমুল চেষ্টা, তবে বেঁচে থাকা মানুষগুলো খুব করে রেগে উঠবে, এ-ই তো স্বাভাবিক। কিন্তু স্বাভাবিকের সংজ্ঞা বদলে গেছে বহুকাল। ‘যা হচ্ছে তা হোক গে’ বলে দশটা-পাঁচটার রুটিনে গা ভাসানো বহুদিন ধরে আমাদের ‘নিউ নর্মাল’। কিন্তু এইবারটা ঠিক সে নিয়মে চলেনি। অন্তত সবার বেলায় নয়। একটা ধর্ষণ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মনে পড়েছে আগেরটার কথা। আগের আগেরটার কথা। টান পড়েছে আমাদের সমস্ত জমিয়ে রাখা, সেরে ওঠা কিংবা না ওঠা ক্ষতে। রাজনীতি, সমাজ আর মনোগহিনের সদর অন্দর জুড়ে ওৎ পেতে থাকা অন্ধকারের ইশতেহার চুঁইয়ে পড়েছে আমাদের উচ্চারণে, লেখায়, যাপনেও। আমরা বুঝেছি অতীত হোক, বা বর্তমান; হাথরস হোক, কিংবা আর জি কর— সব পরিসরেই প্রতিবাদ একটা অভ্যেস। আর সেটা জারি রাখা জরুরি। নির্ভয়া, অভয়া কিংবা তিলোত্তমাদের না ভোলার অঙ্গীকার, কিংবা বলা ভালো ভুলতে না পারা থেকেই কিছু ছড়িয়ে থাকা লেখাকে গেঁথে নেওয়ার এই প্রয়াস, নামান্তরে ‘স্পর্ধা’। দৃশ্যমান ক্ষোভের রেখা ফিকে হলেও যার জেগে থাকা, জাগিয়ে রাখা অফুরান।
-
-
-
জানা-অজানা রবীন্দ্রনাথ ও আরও অনেকে
বইটির প্রথম ভাগে আছে রবীন্দ্রনাথের জীবনের বিভিন্ন ঘটনাবলি। ছোটো ছোটো এই লেখাগুলি থেকে শুধু তথ্য নয়, বিরাট মাপের এই মানুষটির ব্যক্তিত্বের কিছুটা আঁচ হয়তো পাওয়া যাবে। শুধু সাহিত্যিক রবীন্দ্রনাথ নন, জমিদার রবীন্দ্রনাথ থেকে গায়ক রবীন্দ্রনাথ বা চিত্রকর রবীন্দ্রনাথকেও বোঝার চেষ্টা হয়েছে। আবার সংসারের অকাল মৃত্যু-মিছিলের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা পুত্র, কন্যা, স্ত্রী-কে হারানো এক রবীন্দ্রনাথকে আমরা দেখি। এই জানা-অজানা লেখাগুলো থেকে রবীন্দ্রনাথকে আরও জানার ও বোঝার চেষ্টা পাঠক নিশ্চয় করবেন।
দ্বিতীয় ভাগ গড়ে উঠেছে বিস্মৃতপ্রায় বিভিন্ন বাঙালি ব্যক্তিত্বকে নিয়ে। একুশ শতকে আমরা যে সমাজে-সংসারে বাস করি সেখানে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন খবরের ঢেউ এসে আছড়ে পড়ছে। আর তার ফলেই বোধহয় আমরা ভুলতে বসেছি পুরোনো দিনের বিখ্যাত বাঙালি লেখক, ডাক্তার, সমাজ-সংস্কারকদের। এই গ্রন্থে লেখক আমাদের সেই সব বাঙালিদের মনে করিয়ে দিয়েছেন, সঙ্গে দিয়েছেন নির্দেশিকা ও টীকা যা কিনা উৎসাহী পাঠককে এঁদের নিয়ে আরও গবেষণায় সাহায্য করবে।
-
-
-
-
-
-
-
-
-