বড়ো নিশ্চিন্ত জমি থেকে আমি কবিতা লিখি।
কবুল করার মতো কোনও পাপ নেই
শ্লাঘনীয় পুণ্য নেই।
আছে শুধু—
ঢেঁকুর গোপন করে খিদের গল্প বলা,
মিষ্টি জলের শাওয়ারের নিচে দাঁড়িয়ে
খরাভূমির দুর্দশা বর্ণন,
ডিসটেম্পার দেয়ালের কানে উদ্বাস্তুর কান্না তুলে দেওয়া,
নিশ্ছিদ্র সংখ্যাগুরু নিরাপত্তায়
সংখ্যালঘুর প্রতি সহমর্মিতা জ্ঞাপন।
শঙ্কর মাছের চাবুক নিয়ে
আমার শিয়রে দাঁড়িয়ে নেই কোনও বিবেক।
এমনকি যাত্রাদলের মেনিমুখো বিবেকও
বেসুরো গান শুনিয়ে জ্বালায় না কখনও।
এহেন নিশ্চিন্ত ভূমি-ই আদপে আক্রান্ত! এহেন নিশ্চিন্ত জমিইই আসলে ক্ষমতার পুষ্টিবর্ধক। যিনি কবি, তিনি এই ভয়ের ভিতর থাকেন। জানেন, এই উদাসীন জমিই আসলে জমি কেড়ে নিচ্ছে বহু সংখ্যক মানুষের। তবু মানবের জাগরণ নেই। সেই ক্লান্তি, পরাভবের ভিতরেই জেগে থাকে কবির স্বর। কিংবা চাবুক। নিঃশব্দের সাধনাতেও তাই এই স্বর খানিকটা বাঙ্ময়। কারণ বধির সময়ে হয়তো কিছুটা উচ্চগ্রামই শ্রেয়। প্রতীক তাই অবিরল ধাক্কা দিয়ে যান আমাদের চেতনায়, চৈতন্যে। প্রত্যাশা করেন জাগরণ। সকলের জন্য মাটির অধিকার। প্রতীকের কবিতা তাই একান্তভাবেই ছিন্নমূল মানুষদের জন্য।
Be the first to review “কবির ভয়ের ভেতর / প্রতীক”