প্রিয় পাঠক,
অন্ধকারে হারিয়ে যাওয়া রাস্তা দেখাতে টর্চ বিক্রি করার কোনও অভিপ্রায় থেকে আমি লিখি না। এ কথা জানলে সুখী হবেন যে, অন্ধকারও বেচি না আমি। সুতরাং ক্ষয়রোগ থেকে আপনার পকেট সালামত থাকুক, এই বিবেচনা থেকে আমার অক্ষরেরা ঘুরে বেড়ায় আপনার মাথার ওপরের কালো অঞ্চলে। সেই শকুনের পালক থেকে ঝাড়াই করে আমি আমার প্লট খুঁজে আনি, যার দিকে চোখ ও মন দেওয়া রুচিতে বাধে আপনার। তীব্র মানসিক অবসাদ থেকে ফ্রয়েডকে মুক্ত করার কথা ভাবতেই আমার অর্ধেক শব্দ খরচ হয়ে যায়, যেখানে আপনার আশি ডেসিবেলের শব্দ পাই আমি। আমি লোন নিতে আসি আপনার বোধের কাছে। তবে এই ভাবনাতে একটু চোনার মতো থেকেই যায় যে, সেই লোন শুধুমাত্র আপনার সুদ-আসল বাড়াব বলেই নেওয়া, যেহেতু মহাজন ছাড়া কিছুই ভাবা যায় না আপনাকে। সেই লোন নেওয়া ভাবের ঘরে আমি ঢুকি পর্যন্ত না, যেমন রক্ষিতার খোপ এড়িয়ে চলেন আপনি। সেই অন্ধকার নিয়ে আমার যা কিছু লেখা আপনি পড়তে পারেন ও পড়েন, তাতে আপনাকে ডার্করুমে কাজ করা পারদর্শী একজন ডেভলপারের তকমা দিতে আমি বিন্দুমাত্র কুণ্ঠাবোধ করি না (যদিও ফোটোগ্রাফার যে আমিই ও আমার সৃষ্টিতেই চোখ পাকাচ্ছেন ও টাটাচ্ছেন আপনি, সে কথা উহ্য রাখার অর্থ, অহংকার নিজের থেকে থুকে ফেলা)। এতটা জমাট অন্ধকারের সাথে পরিচিতি ঘটানোর জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। আপনার সময় আলোকোজ্জ্বল হোক, যার অর্থ এখনও আপনি…
Be the first to review “আওকিগাহারা”