“…সমস্ত প্রাচীন সভ্যতার মধ্যেই নাকি একপ্রকার আত্মধ্বংসী বীজ লুকিয়েছিল। কথাটা হয়তো মিথ্যে নয়। হরপ্পাই হোক বা মিশর, আজটেক হোক বা মেসোপটেমিয়া, মানুষ নিজেই নিজেকে হত্যা করেছে বারবার। হয়তো বন্যা হয়েছে, ভূমিকম্প হয়েছে, বিদেশি শত্রু আক্রমণ করেছে। কিংবা কোনও গভীর অসুখে মৃত্যু হয়েছে অসংখ্য মানুষের। দীর্ঘ দীর্ঘদিন ধরে কবরের ভিতর শুয়ে পড়ে থেকেছে সেই সব সভ্যতা।”
‘কবরপুরাণ’ উপন্যাসে এই কবরের বিস্তার একটা জনপদ থেকে ঢুকে পড়েছে ব্যক্তিমানুষে। সিংহপুর গ্রাম এক সময় প্রতিহত করেছে বর্গী আক্রমণ। কিন্তু সেই গ্রামের প্রতিরোধ সময়ের সঙ্গে দুর্বল হয়েছে। ক্ষয় ধরেছে বিশ্বাস এবং আত্মশক্তির শিকড়ে। কী হবে তার পরিণতি? বিস্মৃতিতে তলিয়ে যাবে তার ইতিহাস? রচিত হবে আস্ত একটা গ্রামের কবর? নাকি সিংহপুর আবার সজীব হয়ে উঠবে তার মিথ, সংস্কার এবং ম্যাজিক রিয়ালিজমের ছোঁয়ায়?
Be the first to review “কবরপুরাণ”