“কিছু বাস্তব বাকি অবাস্তব”-এর কবি লকডাউনের ত্রস্ত সময়ের মধ্যে লেখা তেতাল্লিশটা কবিতা ‘পরিবারের সকলের/ সমস্ত পাঠকের জন্য’ সংকলিত করে আমাদের মতো ছাপোষা অকবিদের বলা যায় উদ্বেলিত করেছেন। প্রথমেই স্বীকার করি, কবিতার রঙ রূপ বাহার ব্যাপ্তি নিয়ে বলার যোগ্যতা আমার অন্ততঃ নেই তবু কবি আমার কিশোরবেলার বন্ধু, পড়ন্ত বেলায় পৌঁছে তার হাত থেকে যে ডালি উপহার পেলাম তার প্রতি মুগ্ধতা আমি কোন্ ভাষায় প্রকাশ করবো? কিছু বলার জন্য অনুরুদ্ধ হয়েছি, তাই বলা, সেটা শেষ বিচারে কবি স্বয়ং বা প্রকৃত সমালোচকরা অপাংক্তেয় ভেবে বসলেও আমার স্নায়ু তাতে বিচলিত হবে না।
১) “কবিতা যাতে সহজবোধ্য হয়, সেদিকে খেয়াল রেখেছি” —কবি তাঁর অঙ্গীকারে স্থির থাকতে পেরেছেন।
২)”এতকাল যাকে, বাস্তব ভেবে, রেখেছি মনের কোণে,/
হঠাৎ দেরাজ, খুলে দেখি আজ, অবাস্তবই বটে।।”
—–সুরটির সূত্রে বইয়ের নামকরণটিও সার্থক।
৩)অধিকাংশ কবিতার পরতে পরতে ধরে নিতে পারি সেই সসব স্নিগ্ধ কিরণ শৈশব- কৈশোরের, শিকড়ের টান-মায়া, প্রণম্য মানুষদের বিদায়-বিষাদ, মূল্যবোধের অবলুপ্তির অতৃপ্তি বা বাস্তবের মাটিতে পা রেখে চলার সাধ ইত্যাদি প্রভৃতি। সাধারণ, আমার মতো অত্যন্ত আটপৌরে বাংলাভাষার পাঠকরা তাঁর কবিতার বহু পংক্তিতে নিজেকে খুঁজে পাবেন বলে আমার মনে হয়।
৪) একাধিক পংক্তি উপস্থাপিত করাই যায়। ভাল লাগার কারণগুলি বোধ করি কাউকেই তেমনভাবে বোঝাতে হবে না।
“হীরকরাজার আবেদন”—কী অনায়াসভাবে মনের ভিতরে গিয়ে গেঁথে যায়।
“ঈশ্বর সমীপেষু “-র “জীবন গেল ছট্ ফটাইয়া/ষড়রিপু গেল কই” তো আমাদের সকলেরই যেন মনের কথা।
“নিও নর্মাল”-এ “হারাব আজ ছিল যা সব,/বাঁচতে চেয়ে আরেকটা দিন”।
আমার মুগ্ধতা, আমার বন্ধুপ্রীতি নিজের কাছেই থাকুক। এককথায় এ কথা বলাটা কারও কারও কাছে ভণ্ডামি বলে মনে হতে পারে, তবে কোভিড-১৯ যে ২০২০-তে প্রবীর সেনের মতো কবিকে আমার কাছে পৌঁছে দিয়ে গেল, সেই ইতিবাচক দিকটা নিয়েই না হয় বুঁদ থাকি। বাকি যে সকল ত্রাস ২০২০-তে ঘিরে ধরেছিল, তা এই “কি বা বা অ” সংকলনটি অনেকটাই মোচন করে দেবে।
৫) পরিশেষে, এক বিনয়ী প্রশ্ন, তেতাল্লিশটা কবিতা কি সূচীপত্রে দেওয়ার কোনও বাধা ছিল? পাঠক হয়ত বা একটু সুবিধা থেকে বঞ্চিত হলেন।
January 3, 2021
Amitabha Basu
Rated 5 out of 5
The poet, Probir Sen, has created a mirror of modern times within 64 pages of Bengali prose. Assuredly, it is full of both the real and the unreal, as judging by the name on the covers.
What the covers do not advertise, however, is the contrast between undeniable humour and thought-provoking seriousness, which is also a prime feature of this compendium.
কাজী জহিরুল ইসলামের এই কবিতা সংকলনটির সমস্ত কবিতা কোনও রকম ক্রিয়াপদ ছাড়াই লেখা হয়েছে। কবিতা নিয়ে জহিরুলের প্রতিনিয়ত পরীক্ষা-নিরীক্ষায় এ এক নতুন সংযোজন।
প্রভাস চন্দ্র শেঠ
“কিছু বাস্তব বাকি অবাস্তব”-এর কবি লকডাউনের ত্রস্ত সময়ের মধ্যে লেখা তেতাল্লিশটা কবিতা ‘পরিবারের সকলের/ সমস্ত পাঠকের জন্য’ সংকলিত করে আমাদের মতো ছাপোষা অকবিদের বলা যায় উদ্বেলিত করেছেন। প্রথমেই স্বীকার করি, কবিতার রঙ রূপ বাহার ব্যাপ্তি নিয়ে বলার যোগ্যতা আমার অন্ততঃ নেই তবু কবি আমার কিশোরবেলার বন্ধু, পড়ন্ত বেলায় পৌঁছে তার হাত থেকে যে ডালি উপহার পেলাম তার প্রতি মুগ্ধতা আমি কোন্ ভাষায় প্রকাশ করবো? কিছু বলার জন্য অনুরুদ্ধ হয়েছি, তাই বলা, সেটা শেষ বিচারে কবি স্বয়ং বা প্রকৃত সমালোচকরা অপাংক্তেয় ভেবে বসলেও আমার স্নায়ু তাতে বিচলিত হবে না।
১) “কবিতা যাতে সহজবোধ্য হয়, সেদিকে খেয়াল রেখেছি” —কবি তাঁর অঙ্গীকারে স্থির থাকতে পেরেছেন।
২)”এতকাল যাকে, বাস্তব ভেবে, রেখেছি মনের কোণে,/
হঠাৎ দেরাজ, খুলে দেখি আজ, অবাস্তবই বটে।।”
—–সুরটির সূত্রে বইয়ের নামকরণটিও সার্থক।
৩)অধিকাংশ কবিতার পরতে পরতে ধরে নিতে পারি সেই সসব স্নিগ্ধ কিরণ শৈশব- কৈশোরের, শিকড়ের টান-মায়া, প্রণম্য মানুষদের বিদায়-বিষাদ, মূল্যবোধের অবলুপ্তির অতৃপ্তি বা বাস্তবের মাটিতে পা রেখে চলার সাধ ইত্যাদি প্রভৃতি। সাধারণ, আমার মতো অত্যন্ত আটপৌরে বাংলাভাষার পাঠকরা তাঁর কবিতার বহু পংক্তিতে নিজেকে খুঁজে পাবেন বলে আমার মনে হয়।
৪) একাধিক পংক্তি উপস্থাপিত করাই যায়। ভাল লাগার কারণগুলি বোধ করি কাউকেই তেমনভাবে বোঝাতে হবে না।
“হীরকরাজার আবেদন”—কী অনায়াসভাবে মনের ভিতরে গিয়ে গেঁথে যায়।
“ঈশ্বর সমীপেষু “-র “জীবন গেল ছট্ ফটাইয়া/ষড়রিপু গেল কই” তো আমাদের সকলেরই যেন মনের কথা।
“নিও নর্মাল”-এ “হারাব আজ ছিল যা সব,/বাঁচতে চেয়ে আরেকটা দিন”।
আমার মুগ্ধতা, আমার বন্ধুপ্রীতি নিজের কাছেই থাকুক। এককথায় এ কথা বলাটা কারও কারও কাছে ভণ্ডামি বলে মনে হতে পারে, তবে কোভিড-১৯ যে ২০২০-তে প্রবীর সেনের মতো কবিকে আমার কাছে পৌঁছে দিয়ে গেল, সেই ইতিবাচক দিকটা নিয়েই না হয় বুঁদ থাকি। বাকি যে সকল ত্রাস ২০২০-তে ঘিরে ধরেছিল, তা এই “কি বা বা অ” সংকলনটি অনেকটাই মোচন করে দেবে।
৫) পরিশেষে, এক বিনয়ী প্রশ্ন, তেতাল্লিশটা কবিতা কি সূচীপত্রে দেওয়ার কোনও বাধা ছিল? পাঠক হয়ত বা একটু সুবিধা থেকে বঞ্চিত হলেন।
Amitabha Basu
The poet, Probir Sen, has created a mirror of modern times within 64 pages of Bengali prose. Assuredly, it is full of both the real and the unreal, as judging by the name on the covers.
What the covers do not advertise, however, is the contrast between undeniable humour and thought-provoking seriousness, which is also a prime feature of this compendium.