নীহারুল ইসলামের জন্ম ১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৭, মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার হরহরি গ্রামে (মাতুলালয়)। আব্বা রফিকুল ইসলাম। মা আকরেমা বেগম।
শিক্ষা: স্নাতক (কলা বিভাগ), কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়।
শৈশব যাপন মাতুলালয়ে, রাখাল বন্ধুদের সংস্পর্শে। মাঠঘাট, বনবাদাড়ে টো টো ঘুরে বেড়ানো। সঙ্গে মাছ ধরা, পাখি মারা, ঘুড়ি ওড়ানো। কৈশোর যাপন পিতৃভূমি লালগোলা থানার মৃদাদপুর গ্রামে। সেখানেও রাখাল বন্ধুদের সংস্পর্শ। প্রান্তিক মানুষদের খুব কাছ থেকে দেখা। কৃষিকাজের অভিজ্ঞতা সঞ্চয়। ১৯৮৫ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত সীমান্তশহর লালগোলায় বসবাস। বিচিত্র মানুষের সঙ্গে মেলামেশা। তাদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া। বাহাদুরপুর মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রে স্কুলছুট ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষাদান আর গল্প লেখা সবসময়ের কাজ। বিবাহিত। স্ত্রী সাহানাজ বেগম (পলি) মেদিনীপুর শহরের মেয়ে। একমাত্র পুত্র ফারদিন ইসলাম (রোহিত)।
নব্বইয়ের দশকের প্রথমেই লেখালেখি শুরু। বহরমপুরের ‘রৌরব’ পত্রিকায় প্রথম গল্প ‘ফুলি’ প্রকাশ। তার আগে ‘দেশ’ পত্রিকায় কবিতা ‘জন্মান্তর বৃত্তান্ত’ প্রকাশের মধ্যে দিয়ে বৃহত্তর পাঠকসমাজে আত্মপ্রকাশ। এযাবৎ সাড়ে তিন শতাধিক গল্পের রচয়িতা। প্রকাশিত গ্রন্থ:
১. পঞ্চব্যাধের শিকার পর্ব (গল্প – ১৯৯৬), দিবারাত্রির কাব্য প্রকাশনী। ২. জেনা (গল্প – ২০০০), প্রচ্ছায়া। ৩. আগুনদৃষ্টি ও কালোবিড়াল (গল্প – ২০০৪), আকাশ। ৪. ট্যাকের মাঠে মাধবী অপেরা (গল্প – ২০০৮), দীপ প্রকাশন। ৫. মজনু হবার রূপকথা (দুটি নভেলার সংকলন – ২০১২), খোঁজ। ৬. জনম দৌড় (উপন্যাস – ২০১২), করুণা প্রকাশনী। ৭. ঘাট আঘাটের বৃত্তান্ত (গল্প – ২০১৪), অভিযান। ৮. বাবরনামা (গল্প – ২০১৪), আকাশ। ৯. ট্যাকের মাঠে মাধবী অপেরা (গল্প – নতুন সংস্করণ – ২০১৬), সৃষ্টিসুখ। ১০. নস্রুদ্দিন খোজার কিস্সা (রম্য – ২০১৮), সৃষ্টিসুখ। ১১. পিরনানার জ্বিন (উপন্যাস – ২০১৮), আবিষ্কার প্রকাশনী। ১২. ইঁদুর, ইঁদুরের গর্ত, ধান এবং লখিরাম (গল্প – ২০১৮), আলকাপ। ১৩. জমিন আসমান (গল্প – ২০১৮), নিউ ভারত সাহিত্য কুটির। ১৪. ইচ্ছাপুতুল (উপন্যাস – ২০১৮), সৃষ্টিসুখ। ১৫. যাদুলাঠি (গল্প – ২০১৯), নিউ ভারত সাহিত্য কুটির। ১৬. পরিকথা (উপন্যাস – ২০২০), সৃষ্টিসুখ। ১৭. উলঙ্গ স্নানের পর (কাব্যগ্রন্থ – ২০২১), স্রোত পাবলিকেশন। ১৮. নকশিকাঁথার কিশোরগাথা (কিশোর গল্প সংকলন – ২০২২), সৃষ্টিসুখ।
২০০০ সাল থেকে ‘খোঁজ’ নামে একটি অনিয়মিত সাহিত্য সাময়িকীর সম্পাদনা।
সাহিত্য আকাদেমির ট্রাভেল গ্রান্ট পেয়ে জুনিয়র লেখক হিসেবে কেরালা ভ্রমণ, ২০০৪। বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ কর্তৃক ‘ইলা চন্দ স্মৃতি পুরস্কার’, ২০১০। ‘ট্যাকের মাঠে মাধবী অপেরা’ গল্পগ্রন্থের জন্য পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি প্রবর্তিত ‘সোমেন চন্দ স্মারক পুরস্কার’, ২০১০। ভারত-বাংলাদেশ সাহিত্য সংহতি সম্মান ‘উত্তর বাংলা পদক’, ২০১১। কলকাতা লিট্ল ম্যাগাজিন লাইব্রেরি ও গবেষণা কেন্দ্র প্রদত্ত ‘শ্রীমতী লিপি সরকার নিবেদিত ছোটগল্পকার সম্মাননা’, ২০১৩। ‘গল্পমেলা পুরস্কার’, ২০১৫। ‘মল্লার সম্মান’, ২০১৮। ‘দৃষ্টি সম্মান’, ২০২০।
Be the first to review “গল্প সমগ্র ১”