তরুণ গল্পকারদের মধ্যে পরিচিত নাম রিমি। ইতিমধ্যে একাধিক পত্র-পত্রিকায় তাঁর লেখালিখির সঙ্গে পাঠক পরিচিত। এই সংকলনে গল্পের অন্তরালে রিমি বাজিয়ে নিয়েছেন তাঁর বেঁচে থাকার সময়কে। একদিকে এক সাংবাদিকের চোখ দিয়ে দেখা পৃথিবী, সে পৃথিবীর জোচ্চুরি-নিষ্ঠুরতা-অমানবিকতা যেমন আমাদের সামনে উঠে আসছে, তেমনই এও তো সত্যি, এতদসত্ত্বেও মানুষের জীবন ক্রমাগত ঘুরে চলেছে মহাকালের ঘড়ির কাঁটায় কাঁটায়। সেখানে থেমে থাকা বলে কিছু নেই। ফলে এই বিরাট পৃথিবীতে ঘটে যাওয়া কত অহরহ ঘটনা আমাদের আবিষ্ট করে, চমকিত করে,আমাদের বিস্ময় জাগায়। তার কিছু বা লৌকিক, কিছু মনে হয় অলৌকিক। অথবা এই যে এত অমানবিকতা নিয়েও মানবিকতার ফুলের সন্ধানে এগিয়ে চলেছে সভ্যতা, তাও যেন আখেরে এক জাদু বাস্তবতা। সব মিলিয়ে, জীবন এমনই। তা একরৈখিক, একমাত্রিক কখনোই নয়। বহুবর্ণ জীবনই তো কিসসার জন্ম দেয়। গল্পকার তা ধারণ করেন, তাঁর সংবেদন-পর্যবেক্ষণে। আর আয়না করে পাঠিয়ে দেন বাকি পৃথিবীর উদ্দেশে। সেখানে সময়ের ছায়া পড়ে, মানুষের মুখের। আবার হয়তো বা লাশেরও। ফলত এ এক অনিবার্য আবিষ্কারের নেশা। এ এক অ্যাডভেঞ্চার। রিমি মুৎসুদ্দির গল্প সংকলন ‘দময়ন্তীর জার্নাল’ সেই অ্যাডভেঞ্চারের নেশাটি যে ধরাতে পারবে, এ সাক্ষ্য শুরুর ক-টি লাইনই বহন করছে। বাস্তবতার চোখে চোখ রেখে বাকিটা চিনে নিতে আশা করি পাঠক পিছপা হবেন না।
বইটি সম্পর্কে ‘সাপ্তাহিক বর্তমান’ পত্রিকায় প্রকাশিত আলোচনা –
Be the first to review “দময়ন্তীর জার্নাল”