এবারের ফিসফাস নীল। আকাশের মতো নীল, নীল সাগরের মতো নীল। হয়েছে কী, প্রকাশক মশায় বলে বসলেন, “ওসব খাবারদাবারের ঠিকুজি কুষ্ঠি তো ঠিক আছে, কিন্তু ফিসফাস কবে শেষ দুই মলাটে বেরিয়েছে?” আমি বললাম, “এই তো ২০১৪!” প্রকাশক ধমক দিলেন, “তাহলে? চার বছর ধরে ধরাধামে আছ, অথচ মানুষ বঞ্চিত?” আমি ভাবলাম, আমার সবেধন নীলমণি হীরকের খনি, বিরাটের ধোনি একমাত্র প্রকাশক, তার কথা ফেলি কী করে! তাই ফিসফাস! তিন নম্বর ইনস্টলমেন্টে খুচরো জীবনের ব্যাঙ্ক নোট হয়ে যাবার গল্প!
অবশ্য এবারে আইসিং অব দ্য কেক আর চেরি অন দ্য শেক হল ‘অ্যাইসি কি ত্যাইসি’। গতবার যখন ‘ফিসফাস ২’ বেরোয়, তখন তিনি সবেমাত্র ধরাধামে এসেছেন, তাই মর্ত্যাবতারে তাঁর কীর্তিকলাপ লিপিবদ্ধ করার সময় পাইনি। এবারে একদম ফুলটুস উপন্যাস। ফাঁকফোকরের জায়গা নেই। তবে একটা আপ্তবাক্য আছে। প্রত্যেকটি শিশু নিজের মতো করে এক-একটা প্রতিভার ভিসুভিয়াস। তাকে লাগাম পরাতে গেলে পম্পেইয়ের মমি হয়ে যাবার সম্ভাবনা। তার থেকে নিজের ছবি নিজে আঁকুক, রেল লাইনের মতো বাঁধনসর্বস্ব জীবনে তারাই না হয় শোলের মতো বাঁধনহারা পথ তৈরি করুক নিজের মতো করে।
আর আমি আপনি? পাঠক-পাঠিকারা আমরাও ক্ষুদ্র জীবনে দিলটাকে বড় করে আত্মমহাকাব্য রচনা করে যাই মহানন্দে। মনে রাখি যেন, মুখের অবস্থান চোখ আর কানের নিচেই। দেখে শুনে আগে উইকেটে সেট হয়ে যাই! তারপর না হয় ফিসফাস সাড়ম্বরে সকলের জীবনগল্প হয়ে উঠবে। মনুষ্যজীবনের সব না পাওয়ার গল্পের অ্যাইসি কি ত্যাইসি!
Be the first to review “ফিসফাস ৩ (অ্যাইসি কি ত্যাইসি)”