বিজ্ঞান অন্বেষণ

120.00

অয়ন মুখোপাধ্যায়ের পপুলার সায়েন্স জঁরের বই।

জনসংখ্যা যে হারে বাড়ছে তাতে পৃথিবীতে মানুষের স্থান সংকুলান ক্রমশ দুরূহ হয়ে পড়ছে। কিন্তু মহাকাশ, যে অসীম শূন্যস্থান সেখানেও কি স্থানের অভাব ঘটতে পারে? স্পেস জাংক কি এতটাই বেড়ে গিয়েছে? আবার ধরুন, এই ভ্রমণপিপাসু মানুষ কি একদিন মহাকাশেও বেড়াতে যেতে পারে? মানে, টুক করে ঘুরে আসি বলে তল্পিতল্পা বেঁধে মহাকাশে, এমনটা কি বেশিমাত্রায় হওয়া সম্ভব? নাকি মানুষকে হটিয়ে দিয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স আসলে গ্রাস করে নেবে এই সাধের পৃথিবীকে? রোবট কি সত্যিই আমাদের জন্য অভিশাপ হয়ে আসছে? মানুষেরই হাতেই তৈরি হচ্ছে মানুষের নিধনকর্তা? প্রশ্নগুলো বাড়ে, বাড়তে থাকে। বিজ্ঞান যত এগোয়, প্রযুক্তি যত সাফল্য লাভ করে, তত এই প্রশ্নমালা বেড়ে চলে। কারণ এই উত্তরের মধ্যেই নিহিত আছে মানুষের সভ্যতার সুস্থিতি। অর্থাৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে, মানুষের সভ্যতা কীভাবে নতুন পথে যাত্রা করবে, কীভাবে ভারসাম্য খুঁজে নেবে, তার উত্তর খুঁজে নিতে হবে বিজ্ঞান থেকেই। তার জন্য গোড়াতেই চাই বিজ্ঞানচেতনা। বিজ্ঞানমনস্ক মানুষই বিজ্ঞানের অভিশাপগুলো কাটিয়ে উঠতে পারে। প্রযুক্তি ব্যবহারের মন্দ দিকগুলো অতিক্রম করতে পারে। যা আখেরে নিশ্চিত করে মানব সভ্যতার অস্তিত্ব। ঠিক সেই লক্ষ্যেই বিজ্ঞানের সমসাময়িক বেশ কিছু বিষয় নিয়ে নাড়াচাড়া করেছেন অয়ন মুখোপাধ্যায়। প্রাঞ্জল ভাষায় তিনি বিজ্ঞানের নানা দিক, এই মুহূর্তে সভ্যতার সংকট ও উত্তরণের সম্ভাবনাগুলিও ব্যাখ্যা করেছেন। বলা বাহুল্য, পপুলার সায়েন্সের বাংলা বই সংখ্যায় কম। কিন্তু শিশু-কিশোরদের মধ্য তো বটেই, বড়দের মধ্যেও এই ধরনের বইয়ের চাহিদা দেখা যায়। যদি খটকা লাগা প্রশ্নগুলির উত্তর সহজ সরল ভাষায় পাওয়া যায় তবে মন্দ কী! সেই সাধ মেটাতেই এবার সৃষ্টিসুখ আনছে অয়নের পপুলার সায়েন্স জঁরের বই ‘বিজ্ঞান অন্বেষণ’। সন্দেহ নেই এ বই সমস্ত অভিভাবকরাই তাঁদের বাড়ির ছোটদের হাতে তুলে দিতে চাইবেন। এমনকী নিজেরাও পাতা ওলটানো থেকে বিরত থাকবেন না।

Customer Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “বিজ্ঞান অন্বেষণ”

Your email address will not be published. Required fields are marked *