রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের প্রথম প্রেসিডেন্ট স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজ ছিলেন ঠাকুরের মানসপুত্র। ঠাকুর বলে গিয়েছিলেন, “রাখালের একটা রাজ্য চালানোর ক্ষমতা আছে।” তাই স্বামীজী তাঁকে ডাকতেন ‘রাজা’ বলে। সেই থেকে তিনি রাজা মহারাজ।
তিনি ছিলেন এক শান্ত সমাহিত ধ্যানমগ্ন সন্ন্যাসী। অন্যদিকে তিনি এক দক্ষ প্রসাশক। এক পরাধীন দেশের ঝঞ্ঝাবিক্ষুদ্ধ সময়ে তিনি হাল ধরেছিলেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের। মিশনকে এক দৃঢ় ভূমিতে দাঁড় করিয়ে দিয়েছিলেন। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে আজীবন তিনি ছিলেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের প্রেসিডেন্ট।
তাঁর চরিত্রের আরও কিছু আকর্ষণীয় দিক ছিল। যেমন তাঁর সঙ্গীতপ্রিয়তা, হাস্যরস, ফুল ও ফলের গাছের প্রতি ভালোবাসা। এমনকি কখনোসখনো তিনি মাছ ধরতে বা তাস খেলতেও ভালোবাসতেন। সর্বোপরি ছিল মানুষের প্রতি তাঁর অকৃত্রিম ভালোবাসা।
স্বামীজী তাঁর সম্পর্কে বলেছিলেন, “…ঠাকুর যাঁকে ছেলে বলে কোলে করতেন, আদর করে খাওয়াতেন, একসঙ্গে শয়ন করতেন, তাঁর কি তুলনা হয়? রাজা আমাদের মঠের প্রাণ— সত্যিই আমাদের রাজা।” এমন একজন সন্ন্যাসীর জীবনের ছবি আঁকার আপ্রাণ ও অক্ষম চেষ্টার ফসল এই বই।
Be the first to review “রাখালরাজা”