শেষবেলায় ছেলেবেলা

160.00

উৎপল গঙ্গোপাধ্যায়ের ছোটোবেলার স্মৃতিকথা।

উৎপল গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্ম মধ্য কলকাতায়। বঙ্গবাসী স্কুলে পড়াশোনা শুরু। তারপর সিটি কলেজের গণ্ডি পেরোনোর আগেই সুনীল-শক্তির সঙ্গে পরিচয়। দেওয়াল পত্রিকায় লেখালেখি। তারপর দেশ-বিদেশের ভালো সিনেমার আস্বাদন। এমনকি সামান্য সামর্থ্যে স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবিও বানিয়েছেন কলকাতা সিনেক্লাবের এই প্রাক্তনী। দেশের নানান জায়গায় চুটিয়ে নাটক করেছেন ব্যাংক অব বরোদার প্রতিনিধি হয়ে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অবলীলায় সামলেছেন সঞ্চালনার গুরুদায়িত্বও। আবার জীবনের রঙিন মুহূর্তগুলো লেন্সবন্দি করতেও পিছিয়ে নেই আজন্ম রোমান্টিক এই বাঙালি। তাই, স্ত্রী-পুত্র-পুত্রবধূ আর শখের বাগান পরিচর্যা নিয়ে ব্যতিব্যস্ত উৎপলকে যখন লেখা ‘পায়’, তার ফলস্বরূপ আমরা পাই তাঁর প্রথম বই ‘ভরে মন ভ্রমণে’। সেখানে কর্মব্যস্ত ঘোর-সংসারী বাঙালির পায়ের তলার সর্ষের স্বাদ উস্কে দিয়ে উৎপল মনে করিয়ে দিয়েছিলেন সুনীলের সেই কথাটা— “এই পৃথিবীতে জন্মেছি, যতটা পারি তা দেখে যাবো না?” সেই প্রথম ‘সৃষ্টি’র বিনিময়ে আপামর পাঠকের অফুরান ভালোবাসা পাওয়ার যে ‘সুখ’, তাতেই ব্রতী হয়ে ‘সৃষ্টিসুখ’-এর সঙ্গে আবার হাজির হয়েছেন উৎপল। কথায় আছে, কোনও শিল্পীর জাত চেনা যায়, তাঁর দ্বিতীয় সৃষ্টির মাধ্যমে। তাই হাতেখড়ির পালাশেষে, জীবনের ‘শেষবেলায়’ পৌঁছে, ‘ছেলেবেলার’ স্মৃতিমেদুর হাতছানিতে আবিষ্ট কিশোরকুমারের ভক্ত উৎপল ‘ইয়ে জীবন হ্যায়…’ সুরে সুর মিলিয়ে এবার হাতেকলমে চান আপনাদের সঙ্গে সেই অম্লমধুর স্বাদ ভাগ করে নিতে। পড়তে পড়তে অজান্তে দু-ফোঁটা চোখের জল গড়িয়ে পড়লেই বা ক্ষতি কী? স্মৃতি তো সততই সুখের।

Customer Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “শেষবেলায় ছেলেবেলা”

Your email address will not be published. Required fields are marked *