পাঠক যখন লেখকের সমসময়ের গল্পগুলোতে এসে পৌঁছন, তখন দেখা যায়, মৃত্যুচিন্তার অবসেশানটা প্রায় কেটে গিয়ে সেখানে জায়গা নিয়েছে জীবনকে অন্যান্য দৃষ্টিকোণ থেকে চিরে দেখবার কৌতূহল। তিনি বিস্মিত হয়ে দেখছেন জীবনটা জন্ম থেকে মৃত্যুতে প্রবাহিত একমাত্রিক রেখামাত্র নয়। অস্তিত্ত্বের আরও বহু মাত্রা ও স্তর রয়েছে। চিরে চিরে বিশ্লেষণ করে চলেছেন প্রেমিক-প্রেমিকা, পিতা-সন্তানের মতন রিলেশনশিপ পেয়ারগুলোকে। বুঝতে পারছেন, অত্যাচারী বাপকে মেরে ফেললেও সে মার খাওয়া মায়ের ভালোবাসার পুরুষ থেকেই যায়। দেখছেন জেনেটিক নকলনবিশির মধ্যেও বেঁচে থাকে কবিশ্রেষ্ঠের সৃষ্টিবীজ। দেখছেন একজন মানুষ তার অলটার ইগোর মধ্যে দিয়ে কেমন করে শুষে নিতে পারে জীবনের নিষিদ্ধ রস। আর সেই দর্শনগুলোর সাহায্যে বুঝে নিতে চাইছেন জীবনের বহুমাত্রিক ডাইনামিকসকে।
— দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য
Be the first to review “হারুণচাচা এবং পূর্বাশ্রমের গল্প”