-
পিয়ানোঘুম
ইন্দ্রনীল বক্সীর দ্বিতীয় এই কবিতা সংকলনটি সম্পাদনা করেছেন অবিন সেন। গতানুগতিকতার বাইরে লেখা এই কবিতাগুলো একান্তভাবেই ইন্দ্রনীলের নিজস্ব স্বাক্ষর বহন করছে।
-
গল্পপত্র: শারদীয় সংখ্যা ২০২৫
এই সংখ্যার বৈশিষ্ট্য:
সমসাময়িক ও চিন্তনধর্মী গল্প
মননশীল প্রবন্ধ
আকর্ষণীয় প্রচ্ছদ ও উন্নত ছাপা
২১৬ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ সাহিত্যসংকলন
🎁 সংগ্রহে রাখার মতো একটি সংখ্যা — যেকোনো সাহিত্যপ্রেমীর পাঠতালিকায় আবশ্যিক।
প্রকাশকাল: সেপ্টেম্বর ২০২৫
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ২১৬
ভাষা: বাংলা -
-
২৫-এর অট্টহাসি: অশোকনগর নাট্যমুখের নাট্যভুবন
বাংলা থিয়েটারে কোনও নাট্যদলের ২৫ বছর বিরাট কিছু ব্যাপার না হলেও, শহর থেকে প্রায় পঞ্চাশ কিলোমিটার দূরে শহর ও শহরতলির মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন সম্পর্ক অক্ষুণ্ণ রেখে অভি-সংগীতার নেতৃত্বে অশোকনগর নাট্যমুখ নিঃসন্দেহে বাংলা থিয়েটারের উজ্জ্বলতর নাম। এই নাট্যদলকে কেন্দ্র করে জন্ম নিয়েছে যেমন নাট্যমুখ নাট্যপত্র, আবার জন্ম নিয়েছে ‘অমল আলো’-র মতো শিল্প উৎকর্ষ কেন্দ্র। এই ২৫ বছরের নিরন্তর কর্মযজ্ঞকে বহু গুণীজনের বর্ণাঢ্য সমাবেশে ধরে রাখল এই বই, যার নামটি বেশ অদ্ভুত। ‘২৫ এর অট্টহাসি’। অর্থাৎ শুরুর দিনের যাবতীয় বক্রোক্তি, টেরিয়ে তাকানো, বিদ্রুপের যৌথ সংশ্লেষের বিপ্রতীপে নাট্যমুখ যেন দাঁড়িয়ে রইল মন খোলা, অমলিন অট্টহাসি নিয়ে। আসুন, আপনিও সঙ্গে আসুন।
-
গানে ও সুরে: রবীন মজুমদার
চল্লিশের দশকের এমন একজন কিংবদন্তি নায়ক-গায়কের জীবনকাহিনি তুলে ধরা হয়েছে এই বইতে, যিনি জনপ্রিয়তার শিখর ছুঁয়েছিলেন। হয়ে উঠেছিলেন রূপোলি জগতের ‘ম্যাটিনি আইডল’। সে যুগের নব্য যুবারা যাঁর ব্যাকব্রাশ করা চুলের স্টাইল নকল করতে করতে পাগলের মতো ছুটে যেত সেইসব জলসায়, যেখানে তাঁর আসার সম্ভাবনা রয়েছে। শুধু কি যুবকরা? সে যুগের বাঙালি তরুণীরাও তাঁর কণ্ঠের জাদুতে ছিলেন মাতোয়ারা। তাঁকে একঝলক দেখার জন্য তাঁর ভক্তরা তাঁর বাড়ির গাড়িবারান্দার নীচে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতেন। সেই গায়ক-নায়কের নাম রবীন মজুমদার। তাঁর নিজের জীবনটাই যেন ছিল একটা আস্ত সিনেমার মতো উত্থান-পতন, ভাঙাগড়া, সাফল্য-ব্যর্থতা দিয়ে ঘেরা। সাফল্য কাকে বলে তাও যেমন তিনি দেখেছেন, তেমন আবার ব্যর্থতার চোরাবালিতে ডুবে গিয়েও তলিয়ে যাননি। লড়াই করে ফিরে আসতে পেরেছেন সাফল্যের মূল স্রোতে। এই বই তাই প্রত্যেক সংস্কৃতিপ্রেমীরই সংগ্রহযোগ্য।
-
জীবন ঝরার শব্দ
এই কথন এক অজ পাড়াগাঁয়ের দরিদ্র মেয়ের। আশৈশব সে পেয়েছে বিচ্ছেদ, প্রিয়জনের মৃত্যু, মা-বাবা দুজনকেই হারিয়েছে। তারপর যদি বা কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর সুরাহা হল, জীবনে এল আনন্দ, তাও রইল না। এ মেয়ে ভালোবেসেছিল একজনকে। বিশ্বাস করেছিল। জানত না, তার আড়ালে রয়েছে কুটিল এক ষড়যন্ত্র। যার হাত ধরে সে ঘর ছেড়েছিল, দেশ ছেড়েছিল, নিশ্চিন্তে মাথা রেখেছিল যার বুকে, সে-ই তাকে নিয়ে গিয়ে ফেলল ভয়ংকর এক অবস্থায়। বাংলাদেশ থেকে পাচার করে নিয়ে গেল ভারতে। এখানেই প্রবঞ্চনার শেষ নয়। দিন-রাত তাকে আটকে রেখে চলল চরম শারীরিক লাঞ্ছনা। একজন নয়, অনেকে মিলে। ভোগের নৃশংসতা রক্তাক্ত মেয়েটির কোনও তোয়াক্কাই করেনি। তবু সে নিস্তার পেল একদিন আচমকা। তারপর ঠাঁই হল এক হোমে। অকূল পাথারের ভেতরে ডুবে যেতে যেতে আরও একবার শ্বাস নেওয়ার চেষ্টা করল এই মেয়ে। এ কাহিনি শুধু এই মেয়েরই নয়। তারই মতো আরও অনেকের, যাদের খোঁজ কেউ রাখে না। আগুনের ভেতর থেকে উঠে এসে যে ডানা ঝাপটায়, এ কাহিনি সেই আগুনপাখির নিজস্ব চিৎকার। চোখের জলের কথন শব্দের ফোঁটায় ঝরে পড়েছে এই লেখায়।
-
-
-
-
-
-
-
-
-
-
-
-
-
-