তিরের গতিতে ছুটে এল একটা বাইক। দত্তাত্রেয় দেখলেন, পেছনে বসা আরোহীর ডান হাতটা ছিটকে উঠল শূন্যে। শান্ত নিঝুম নিস্তব্ধতা খানখান করে একটা গুলির শব্দ। মুহূর্তে লুটিয়ে পড়লেন চিত্রশিল্পী দত্তাত্রেয়র সেক্রেটারি বিকাশ। শুরু হল ‘ক্ষতমন্থন’ — ক্রাইম রিপোর্টার কণাদ এবং ক্রাইম ফোটগ্রাফার রাকার নতুন থ্রিলার।
আপাতনিরীহ এক যুবককে কেউ কেন খুন করতে চাইবে? দত্তাত্রেয়র সবরকম আর্থিক লেনদেন থেকে শুরু করে তাঁর সামাজিকতা — সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করতেন বিকাশ। সেখান থেকেই কি জন্ম নিয়েছে কোনও অসূয়া? নাকি লোকচক্ষুর গভীরে অন্য কোনও অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছিলেন বিকাশ? দত্তাত্রেয়র জীবনে সাত বছর পরে হঠাৎ ফিরে এসেছেন তাঁর পুরনো প্রেমিকা কুমকুম। তিনি চান না বিকাশের মৃত্যু নিয়ে পুলিশ বেশি ঘাঁটাঘাঁটি করুক। কুমকুমের এই প্রত্যাবর্তনে দত্তাত্রেয়র বর্তমান প্রেমিকা ইন্দিরার প্রতিক্রিয়া খুবই নাটকীয়। শিল্পীর কপালের ক্ষতটার পেছনে কি ইন্দিরার প্রচ্ছন্ন ভূমিকা থাকতে পারে? একজন কবি কি কাউকে আঘাত করতে পারেন? দত্তাত্রেয়র কাছে সিটিং দিতে আসা নিউড মডেল দেয়ালাই বা হঠাৎ করে কোথায় উধাও হয়ে গেল?
এইভাবে একের পরে এক রহস্য অজান্তেই শিকড় গেড়ে বসে এক অধ্যায় থেকে পরের অধ্যায়ে।
এই সমস্ত রহস্যের জট ছাড়িয়ে কীভাবে কণাদ শহর কলকাতার অন্ধকার অলিগলি বেয়ে আলোর দিশায় পৌঁছাল, তা জানতে এই রোলার কোস্টার রাইডের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। Rijurekh Chakravarty-র নতুন পেজটার্নার উপন্যাসটির প্রচ্ছদ করেছেন Sumit Roy। বইটি প্রকাশ পাবে কলকাতা বইমেলা ২০১৭-য়।
বইটি প্রি-অর্ডার করা যাবে নীচের লিংক থেকে।