-
তুমি না রহিলে
অযত্নে পড়ে থাকা গত পাঁচ-সাত বছরের সম্পদ। স্মৃতিযাপনে ডুয়ার্স, ডিমা নদী, সামসিং বনবাংলো গহিন অরণ্যের বারান্দা, নাগরাকাটয় দুপুরবেলা। দ্রোহ কি নেই? আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রয়েছে দ্রোহকাল। দ্রোহীদের বর্শা ফলা না দেখলে, দিল্লি কিষান সমাবেশে রাজস্থান, মহারাষ্ট্রের কিষানিদের না দেখলে, সেকুবাইয়ের আর্ত পা না দেখলে এই লেখা জন্ম নিত না। সংকলনের লেখাগুলি দিল্লি বর্ডারে চতুর্থ পানিপথের যুদ্ধ দেখেছে। দেখেছে কৃষকের জয়। সময়ের ধারাপাত; রাজপথে, অপরিচিত জনপদে সারি সারি পরাজিত মানুষের কোলাজ, গাজা ভূখণ্ডে নিহত শিশুর আর্তনাদ আঁকার প্রয়াস। কবিতা যদি না-ই হয়, ক্ষতি নেই। প্রেমে-অপ্রেমে, মিছিলে, স্লোগানে, ইস্তেহারে সিক্ত অক্ষরমালা।
‘তুমি না রহিলে’— তুমি শাশ্বত চৈতন্য। তুমি— যে আমায় প্রথম দিয়েছিলে কবিতা ছাপাবার রসদ। তুমি— যার সঙ্গে আমি সাঙ্গা করতে চেয়েছি বিজনে, বিহানে, প্রদোষে। তুমি মিছিলে হেঁটে যাওয়া সুসংবাদ। অসহায় রক্ত ভেজা মাটি, মৃত পুষ্পকোরক; তুমি জিয়নমন্ত্র; হঠাৎ অন্ধকার সুড়ঙ্গে আলোমতী নারী। তুমি না রহিলে…