‘অপ্রাকৃত’ শব্দের অর্থ কী? শ্রী সুবলচন্দ্র মিত্র রচিত ‘সরল বাঙ্গালা অভিধান’ খুললে যে কটি প্রতিশব্দ পাই, তাদের মধ্যে আছে, ‘অসাধারণ’, ‘অলৌকিক’, ‘অস্বাভাবিক’, ‘অনৈসর্গিক’, ‘অজাগতিক’ ইত্যাদি। আমাদের চারপাশে যা যা ঘটে, সবই কি স্বাভাবিক? এদের মধ্যে কিছু আছে ব্যতিক্রমী। অবশ্য বিজ্ঞান বলে, ব্যতিক্রমও কিছু নিয়মের মধ্যেই, কেবল তার স্বরূপ নির্ণয় ও ব্যাখ্যার প্রয়োজন আছে।
কিন্তু সবই কি ব্যাখ্যা করা যায়? হয়তো কেউ পারেন, হয়তো এই সব ব্যতিক্রমী ঘটনার স্বরূপ নির্ণয়ও সম্ভব। তবে যতক্ষণ না হচ্ছে, ততক্ষণই মানুষের প্রবল আগ্রহ ‘অপ্রাকৃত’ ঘটনায়। মানুষ এই ধরনের অস্বাভাবিক ঘটনার দিকে আকৃষ্ট হয়ে এসেছে চিরকাল। চিরকালই পৃথিবীর সব দেশে ‘রহস্য’ নিয়ে গড়ে উঠেছে অসাধারণ কিছু সাহিত্য।
‘অপ্রাকৃত’ নামে আমার একটি বই ‘সৃষ্টিসুখ’ প্রকাশ করেছে ২০১৪ সালের বইমেলাতে। সে বইয়ের প্রতি মানুষের প্রচণ্ড আগ্রহ দেখে রচিত হল সে বইয়ের আরও একটি খণ্ড। আশা করি এটি আগেরটির চেয়ে কোনও অংশে কম মনোগ্রাহী হবে না।
এই প্রসঙ্গে, একটি কথা বলে রাখার খুবই প্রয়োজন। প্রথাগত ‘ভূতের গল্প’ বলতে পাঠক যা বোঝেন, ‘অপ্রাকৃত’ ১ বা ২-তে তেমন গল্প নেই। তবে আছে এমন কিছু ঘটনার কথা, যা আমাদের দেখা নিত্যকার ‘স্বাভাবিক’ বিষয়ের মধ্যে পড়ে না।
— রূপঙ্কর সরকার
Be the first to review “অপ্রাকৃত ২”