জিরাফের ডোরাকাটা মাফলার

139.00

এই সংকলনটি লেখকের প্রথম বই। বইটি গদ্যের না পদ্যের আমরা জানি না, তবে জিরাফ বা মাফলার নিয়ে যে নয়, তা নিশ্চিত। বইয়ের বিষয় ডোরাকাটা হলেও হতে পারে। এই না-জানার এবং অনিশ্চিত সম্ভাবনার মধ্য দিয়েই এক আপাত ননসেন্স গদ্যভঙ্গিতে কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় সূক্ষ্ম বিদ্রূপ সাজিয়ে দিচ্ছেন, কখনও ডার্ক হিউমার। বাঙালির গদ্যরসে কৃষ্ণেন্দুর এই বই নবতম সংযোজন।

 

প্রচ্ছদ — সুমিত রায়

Customer Reviews

1-5 of 2 reviews

  • Bibudh Lahiri

    সাহিত্যের বিবিধ জনরার মধ্যে ননসেন্স সম্ভবত কঠিনতমগুলোর মধ্যে একটা। ননসেন্স সৃষ্টি করতে না চেয়েও স্রষ্টা যা সৃষ্টি করেছেন তা ননসেন্স হয়ে দাঁড়িয়েছে – এরকম উদাহরণ ভুরি ভুরি। হিউমারের সবটা মৌলিক না হলেও (যেমন চিড়িয়াখানায় মানুষকে জন্তুর কস্টিউম পরিয়ে জন্তু সাজিয়ে রাখা) কৃষ্ণেন্দু মুখার্জীর নয়টি লেখার এই সংকলনে অধিকাংশ লেখায় খুব বুদ্ধিদীপ্ত, বিশেষ করে “লেভেল ক্রসিং”, “হারানো শজারু” এবং “অথ পেঙ্গুইন ঘটিত”।

    July 13, 2019
  • Sankar Nath Bhadra

    হতে পারে বর্মীবাক্সটাই গুষ্টিসুখ, অপরিসীম লীলার সাথে ভেঙে আসা নস্টালজিয়া মিলিয়ে দেন তার ডালায় লেখক। মুখpunএ ছুঁড়ে দেন শিব্রামীয় ননসেন্স, যা আমার ধারণা ছিল ওই কথা জাগলিং-এর চেয়েও অননুকরণীয়, তাকেও ঠিক পেড়ে ফেলেন সাদা হাতির পাশের পুকুর পেরিয়ে চিড়িয়াখানায়। তারপর ‘অপরাধ’-এ এসে খেই হারাই সত্যি, এ কি ‘কালান্তক লালফিতায় অরওয়েল’ নাকি আমার না পড়া কিছুকে ভয়ের মসলা মাখিয়ে ভেজে দিলেন? ফ্যান্টাসি থেকে লেভেল ক্রসিং পেরিয়ে দাঁড়াতে পারা তবু স্বাভাবিক, পেট গুড়গুড়টা কম করে, গুরগুর করে তবু বলা যায়। তবে বজারুর (বখে যাওয়া শজারু) কামড়ে বেড়াল জ্বর বাঁধিয়ে যখন ঘেউ ঘেউ করে ভুল বকতে শুরু করলো তখনই বুঝলাম আছে অন্য কোনো লেয়ার, আমি মুখ্যু বলে ধরতে পারছিনা। তা থাক, আমি তো সুকুমার এমনি এমনি পড়ি, অন্তর্নিহিত গর্তে পড়িনা। উরেব্বাস, তারপরকি কিসব ননসেন্স, চোখে গণ্ডার দেখছি না গন্ডাগন্ডারাক্ষস বোঝা দায়, ‘হাঁতি’ হলেই বা আটকাচ্ছে কে! তবে কিনা ব্লার্বম্যান গুল দিয়েছেন, মাফলার আর ‘জিরাপ’ নিয়েই এই বই, ডোরাকাটা থাকতে পারে, বুঝিনি, অত জেব্রা ক্রসিং আমি নই।
    মোটকথা উচ্চতম রিভিউবিদ্যা থেকে বইটাকে ‘শিব্রামে বিষফোঁড়া’ সম্মানে ভূষিত করাই যায়।
    সুমিত রায়ের প্রচ্ছদটি গ্রেনেডের প্যাকেজিং হিসাবে মানানসই।

    কিনে ফেলুন। এমন বই সচরাচর লেখে না কেউ।

    —-

    January 10, 2020

Write a Review

Your email address will not be published. Required fields are marked *