প্রাককথন, প্রাগ-কথন এবং পরিচিতির পরিবর্তে
যে তিনটি অধ্যায়ে এই কাব্যগ্রন্থ বিভাজিত হল তাদের সম্পর্কে কিছু সংক্ষিপ্ত বক্তব্য ধরা থাক এর সম্ভাব্য পাঠকদের প্রতি। ২০২২ খ্রিস্টাব্দের প্রারম্ভে সদ্য করোনাতঙ্ক মুক্ত পৃথিবীতে আমি প্রাগ নগরীতে সুদীর্ঘ স্বেচ্ছানির্বাসনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করি আর প্রায় সেই মুহূর্তেই শুরু হয় ইউক্রেন সংঘাত যার প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া ধরা আছে প্রাককথন পর্বে গ্রন্থিত একটি নিঃসঙ্গ নির্মাণে। পরিশেষে ২০২২ সালের ১ জুন আমি সশরীরে আবির্ভূত হই প্রাগ শহরের মাসারিকোভা হোটেলে— প্রাগ-কথন অংশের ঘটমান বর্তমান ক্রমশ নির্মিত হতে থাকে দৃশ্য ও অনুভূতির অভিঘাতে। আর পরিশেষে রইল লেখক পরিচিতির পরিবর্তে একটি আত্মজৈবনিক সেস্টিনা। জীবনের অজস্র বসন্ত পেরিয়ে এসে ভারতবর্ষে এক অসুন্দর প্রতিবেশে আমার এই পিছন পানে চাওয়া, হে পাঠক, তোমার মঙ্গলস্পর্শ থেকে যেন বঞ্চিত না হয়!
এই সংকলনের অধিকাংশই ধারাবাহিকভাবে চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম পত্রিকায় প্রকাশিত। প্রাগ-কথন অংশটি একটি কাব্যশৃঙ্খল হিসেবে নির্মিত হয় দেবব্রত শ্যামরায়ের প্ররোচনায় আর অভীক ভট্টাচার্য ক্রমান্বয়ে এই নির্মাণগুলি তাদের পত্রিকায় প্রকাশ করতে থাকে। আমার কৃতজ্ঞতা রইল।
এই সংকলনের প্রকাশক রোহণ কুদ্দুস একদা প্রাগ নগরীর দীর্ঘস্থায়ী বাসিন্দা। আমি এই নগরীকে প্রথম চিনি তার গদ্যের মাধ্যমে, ভারতবর্ষে বসে। এখানে সংকলিত কবিতাগুলিতে আমি যেন আজও তার পদচিহ্ন খুঁজে পাই। সেই প্রাপ্তি আনন্দের।
নিরুপম চক্রবর্তী
প্রাগ, চেক প্রজাতন্ত্র, ২০২৩
Be the first to review “প্রাগে শীত আসিবে এবার!”