না, রেসিপির বই নয়, এটা একটা খাদ্যসফর। খাবারের ইতিহাস-ভূগোল-বিজ্ঞান-অঙ্ক সব তুলে এনেছেন লেখক। শুরু হচ্ছে চা-কফি-শিঙাড়া-চপ দিয়ে। তারপর? মেনকোর্সের শুরুতেই বিরিয়ানি। তারপর ইলিশ, চিঙড়ি থেকে শুরু করে আমাদের রোজকার ছ্যাঁচড়া, চচ্চড়ি, ঘণ্ট, আলুপোস্ত এসবও ব্রাত্য নয়। সব্বাই হাজির। আছে লঙ্কা নিয়েই আলাদা একটা চ্যাপ্টার। তারপর লেখক আমাদের টেনে নিয়ে যাচ্ছেন গণ্ডির সামান্য বাইরে -- কাশ্মিরী রান্না, দক্ষিণী আমিষ রান্না আর সিলেটি রান্না। আর শেষে চকোলেট, পায়েস। কিন্তু এভাবে শুধু সূচিপত্র আউড়ে গেলে এ বইয়ের কিছুই বোঝা যায় না। কারণ বইয়ের নাম 'ফিসফাস কিচেন'। মানে ফিসফাসের সেই মজলিশি স্টাইলে বলা হচ্ছে নানা খাদ্যের হাঁড়ির কথা। সে কোন দেশ থেকে এল, কেমন...
একবুক জোনাকি পাতা-অতনু প্রজ্ঞান বন্দ্যোপাধ্যায়
একজন মানুষ নিজের সঙ্গে কথা বলছেন। নিরন্তর দ্বন্দ্ব, কৌতূহল, আত্মসমালোচনা -- একের পর এক ফুটে উঠছে একটা ক্যানভাসে, নিজের যাত্রাপথকে আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছেন। গন্তব্যে পৌঁছানোর থেকেও বেশি আগ্রহী তিনি পথের চারপাশে ছড়িয়ে থাকা হাজার বিস্ময়ে। অতনু প্রজ্ঞান বন্দ্যোপাধ্যায়-এর গদ্য সংকলন 'একবুক জোনাকি পাতা' এক আত্ম-উন্মোচনের জার্নি। লেখকের প্রথম বই 'এভাবেও ফিরে আসা যায়' যেমন বহু পাঠককে জীবনের দিকে ফিরে আসার ডাক দিয়েছিল, তেমনই এই বই পাঠককে নিজের ভেতর থেকে বাইরে তাকানোর হাতছানি দেবে। সৃষ্টিসুখ প্রকাশনের এই বইটি প্রকাশিত হচ্ছে কলকাতা বইমেলা ২০১৭-য়। একবুক জোনাকি পাতা অতনু প্রজ্ঞান বন্দ্যোপাধ্যায় মূল্য - ১২৫ টাকা প্রচ্ছদ - রোহণ কুদ্দুস প্রি-অর্ডারের লিংক...
প্রতিবেশীর বিড়ালের সঙ্গে ভাব জমানোর সহজ উপায়-দোগন পদ্দিস
বিড়াল আপনার মুলোর তরকারির ভাগ পেয়েছে? সাবধান! একঘরে রাত কাটাবেন না। বিড়ালের থেকে আত্মরক্ষার এমন অজস্র টিপস্ রয়েছে মাত্র এক ক্লিক দূরত্বে। সৌরাংশু সিংহ আরো যোগ করেছেন-দোগন পদ্দিস একটি দু পেয়ে অলপ্পেয়ের নাম। ক্ষণজন্মা অলপ্পেয়ে। কথায় বলে না বোলার যদি ক্যাপ্টেন হয় তাহলে হয় বেশি বোলিং করে অথবা কম! ইনি কম। প্রকৃত ক্যাপ্টেনের মতো পিছন থেকে নেতৃত্ব দিতে ভাল বাসেন। কিন্তু তাতে তার প্রতি ভালবাসা একটুও কমে না আমার। দোগন পদ্দিস রচিত 'প্রতিবেশীর বিড়ালের সঙ্গে ভাব জমানোর সহজ উপায়
তপন সিংহ — সার্বিক চলচ্চিত্র বীক্ষা: আবেশ কুমার দাস
প্রবন্ধের বই যে একেবারেই আমরা করিনি, তা নয়। কিন্ত এই বইটা সম্পর্কে আমার ভীতি ছিল আঞ্চলিক ভূগোলের মতো। এবং ড্রেসিং টেবলের ওপর রাখা ফিশবোলের মতো। একেবারে অজানা একটা বিষয়। তার ওপর কোথায় যে কী ভুল হয়ে যাবে টুক করে... Abesh যখন গত বইমেলায় জানিয়েছিল, ও তপন সিংহের ওপর প্রবন্ধের একটা বই প্রকাশ করতে চায়, আমি ঠিক কেমন রাজি হতে পারিনি। একজন চলচ্চিত্র পরিচালক, যিনি কিনা সেভাবে বাঙালির ঘরে ঘরে বন্দিত নন, যাঁর সিনেমার দৃশ্য নিয়ে কোনও মীম তৈরি হয় না, তাঁর ছবি নিয়ে কোনও পোস্টার বানানো হয় না, তাঁর ওপর একটা গোটা বই! সত্যজিৎ রায় বা ঋত্বিক ঘটককে নিয়ে লেখো না কেন বাপু?...
ফের ফেলুদা, আবার ব্যোমকেশ-প্রবীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
ফেলুদা এবং ব্যোমকেশকে নিয়ে লেখা দু-দুটি ফ্যান ফিকশন একত্রে প্রকাশিত হচ্ছে কলকাতা বইমেলায়, সৃষ্টিসুখ প্রকাশন থেকে। উপন্যাস দুটি লিখেছেন প্রবীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, প্রচ্ছদ এবং অলঙ্করণের দায়িত্বে শিল্পী অভীক কুমার মৈত্র। ফেলুদার প্রথম গল্পের পঞ্চাশ বছর এবং ব্যোমকেশের প্রথম চলচ্চিত্রের পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে লেখা হয়েছে এই pastiche দুটি। বইটি প্রি-অর্ডার করতে পারেন সৃষ্টিসুখের নিজস্ব ওয়েবসাইটে - http://sristisukh.com/pre-order/index.php?id=6 এবার উপন্যাস দুটি নিয়ে কিছু কথা। জয়পুরের মহারাজার জন্য ফরাসী এক মণিকার বানিয়েছিলেন 'রুবি আইড প্যারট', এক অমূল্য শিল্পকর্ম। দিল্লির এক শিল্প সংগ্রাহক হঠাৎই খুঁজে পান আরেকটি রুবি আইড প্যারট, যার অস্তিত্ব সম্পর্কে এর আগে কোনও ধারণাই ছিল না। সোনার তৈরি এই দ্বিতীয় টিয়াপাখিটি, যার...
ক্ষতমন্থন
তিরের গতিতে ছুটে এল একটা বাইক। দত্তাত্রেয় দেখলেন, পেছনে বসা আরোহীর ডান হাতটা ছিটকে উঠল শূন্যে। শান্ত নিঝুম নিস্তব্ধতা খানখান করে একটা গুলির শব্দ। মুহূর্তে লুটিয়ে পড়লেন চিত্রশিল্পী দত্তাত্রেয়র সেক্রেটারি বিকাশ। শুরু হল ‘ক্ষতমন্থন’ — ক্রাইম রিপোর্টার কণাদ এবং ক্রাইম ফোটগ্রাফার রাকার নতুন থ্রিলার। আপাতনিরীহ এক যুবককে কেউ কেন খুন করতে চাইবে? দত্তাত্রেয়র সবরকম আর্থিক লেনদেন থেকে শুরু করে তাঁর সামাজিকতা — সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করতেন বিকাশ। সেখান থেকেই কি জন্ম নিয়েছে কোনও অসূয়া? নাকি লোকচক্ষুর গভীরে অন্য কোনও অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছিলেন বিকাশ? দত্তাত্রেয়র জীবনে সাত বছর পরে হঠাৎ ফিরে এসেছেন তাঁর পুরনো প্রেমিকা কুমকুম। তিনি চান না বিকাশের মৃত্যু নিয়ে...
সৃষ্টিসুখ প্রি-অর্ডার
লেডিস অ্যান্ড জেন্টলম্যান, বয়েজ অ্যান্ড গার্লস, একটু এগিয়ে আসুন... এদিকে... এদিকে... হ্যাঁ। ঠিকঠাক শোনা যাচ্ছে তো? হ্যাঁ, তা কদিন ধরেই কথা চলছিল -- এবার বইমেলায় কী হবে? মানে কটা বই বের হবে, তার লিস্ট কই ইত্যাদি। তা সৃষ্টিসুখ প্রকাশনের বইয়ের লিস্ট শেষমেশ প্রকাশ করেই ফেললাম আমরা। ও হ্যাঁ, শুধু বইয়ের লিস্টই নয়, অনেকেই জিজ্ঞাসা করেছেন আগাম কী করে অর্ডার করব? কারণ কে না জানে, এখন ক্যাশলেস যুগ। আপনি দুটো বই কিনে দু হাজার টাকা এগিয়ে দিলে কেঁদে কুল পাব না। তাই আপনাদের জন্যে সৃষ্টিসুখ নিয়ে এল (ড্রাম রোলিং, দিল থামকে ব্যইঠিয়ে) সৃষ্টিসুখ প্রি-অর্ডার। ব্যাপারটা কী? ধরুন, আপনি পছন্দের বই কিনতে চাইছেন,...
প-ফ: সপ্তর্ষি দে
হাজার হাজার বছর আগের কথা। পাথরের ব্যবহারের পাশাপাশি মানুষ ধাতুর ব্যবহার সবে শুরু করেছে। নতুন নতুন ইমারত, বাজার তৈরি হতে শুরু করল ঝড়ের গতিতে। শুরু হল নৌ-বাণিজ্য। আজকের ভাষায় আমদানি-রপ্তানি। পরিবর্তন আর উন্নয়ন চারদিকে। সেই হাওয়ায় আমাদের গল্পের নায়ক প একটা রেস্তোরাঁ খুলে বসল। আর সেই রেস্তোরাঁয় দূরদেশ থেকে বাণিজ্যের মতলবে একদিন এসে হাজির হল গল্পের আর এক নায়ক ফ। শুরু হল প আর ফ-এর প্রথম অ্যাডভেঞ্চার গল্প। 'এই সময়' সংবাদপত্রে নিয়মিত প্রকাশ পেতে থাকা Saptarshi Dey-র এই কমিক স্ট্রিপ এবার কলকাতা বইমেলা ২০১৭-য় আসছে গ্রাফিক নভেল হিসাবে। ছোট-বড় সবার জন্যে হ য ব র ল-র এই বইটি সৃষ্টিসুখের স্টলে পাওয়া...
nchantress / Lummojatar( নিজস্ব বাতাস বয়ে যায়)-নিরুপম চক্রবর্তী
সৃষ্টিসুখ থেকে প্রকাশ করা নিরুপম চক্রবর্তীর ‘নিজস্ব বাতাস বয়ে যায়!’ বইটির কিছু নির্বাচিত কবিতার ফিনিশ এবং ইংরিজি অনুবাদ Enchantress / Lummojatar নামে প্রকাশ করলেন ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিঙ্কির একটি প্রকাশন সংস্থা। ফিনিশ ভাষায় কবিতাগুলি অনুবাদ করেছেন বহুভাষাবিদ অনুবাদিকা হান্নেলে পোহয়ানমিস, যিনি এর আগে রবীন্দ্রনাথ ও বুদ্ধদেব বসুকে ফিনিশ পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। ইংরিজি অনুবাদগুলি কবির নিজেরই করা। কবিতাগুলির অলংকরণ করেছেন এক্সপ্রেসনিস্ট শিল্পী আলেকজান্ডার পোপভ, যা কিছু জল রঙের ছবিতে এই কবিতাগুলির পাঠ প্রতিক্রিয়া ।
মেজোবাবু আসবেন ও অন্যান্য-অর্ণব রায়
এক মুখহীন অবয়বমাত্র জনতাপিণ্ডের সঙ্গে পথ হাঁটছে এই সংকলনের গল্পগুলি। তাদের সাথে বটতলার সালিশী সভায় বসে পড়ছে, কখনও বাসরাস্তার ধারে গজিয়ে ওঠা চায়ের দোকানে লুঙ্গি গুটিয়ে বসে মিঠুনের ‘সিনামা’ দেখছে, দেখছে মানুষকে ঘিরে ধরে পিটিয়ে মারতে মানুষের সে কী উল্লাস, দেখছে মানুষ নিজের দুঃখ কষ্টে বুক আউলে কাঁদতেও অন্য মানুষের ভরসায় বসে আছে, আবার সেই মানুষই মরতে মরতেও ভুল স্বধর্ম আঁকড়ে চেতনার ওপারে যেতে চাইছে। এসবের ধার ঘেঁষেই আলতো উঁকি মেরে মেরে যেতে চেয়েছেন লেখক। পকেটে হাতটা ভরে, আলগোছে পা ফেলে ফেলে। এদেরই কারোর পাশে বসে একটা বিড়ি একটু আগুন এগিয়ে দিতে চেয়েছেন। এভাবেই একটা আধটা গল্প। এভাবেই ভিড়ের ভেতর...